ফলে চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। নানা ধরনের ধাতব ও প্লাষ্টিকের তৈজসপত্রের জন্য মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদা এখন একেবারে কম। এরপরও আনেক কুমার বংশ পরম্পরায় শেখা কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও মাটির তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে বর্তমান সময়ে পরিবার চালানো খুব কষ্টকর।কুমাররা তৈজসপত্রের পাশাপাশি মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও গৃহসজ্জার সামগ্রী তৈরি করেন। কিন্তু এখন খেলনা শিল্পেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। প্লাস্টিকসহ কাপড়ের খেলনা বাজারে চলে এসেছে। ফলে মাটির তৈরি গৃহসজ্জার সামগ্রী এবং খেলনার চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে।
তবে কুমাররা মাটির তৈরি খেলনায় অনেকটা পরিবর্তন এনেছেন। আগে যেখানে ছাঁচ দিয়ে তৈরি মাটির পুতুল দেখা যেত এখন সেখানে প্লাস্টিকের তৈরির খেলনার সঙ্গে পাল্ল দিয়ে মাটিরও সুন্দর সুন্দর খেলনা পাওয়া যায়, এরপরও মৃৎশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসেনি।
কুমাররা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মেলায় তাদের তৈরি করা সামগ্রী বিক্রি করেন। খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়াতে এখন চলছে মেলা। এখানে আসা মৃৎশিল্পীরা জানান এমনিতেই মাটির জিনিসের বিক্রি কম তার উপর করোনার কারণে মেলায় লোক আসছে না তাই বিক্রিও নেই।
করোনার কারণে মৃৎশিল্পীদের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ বেতের উপহারের পাশাপাশি মাটির তৈরি গৃহসজ্জার সামগ্রী সরকারি অনুষ্ঠানের উপহার হিসেবে দিতো তবে তাদের অবস্থা অনেকটাই ভালো হতো বলেও মত তাদের।