ঢাকা: করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে চাকরিচ্যুত দু’হাজার সাংবাদিক ১০ হাজার টাকা করে পাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।এসময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে যখন লকডাউন চলছে তখন সাংবাদিকদের কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি সভা করলাম। আপাতত আরো দুই হাজার সাংবাদিককে দুই কোটি টাকা সহায়তা করবো। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এই অর্থবছরে আরো ২শ সাংবাদিককে ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে ৪০ জনকে সেই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও এই অর্থবছরে আরো সাংবাদিককে কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আরো সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সংসদে আইন পাস করে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে অসুস্থ, অসচ্ছল সাংবাদিকদের প্রতি বছর সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকশ সাংবাদিককে এই ট্রাস্ট থেকে সহায়তা দেওয়া হয়। কোনো সাংবাদিক মারা গেলে এককালীন তিন লাখ টাকা পান। হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে যারা চাকরি হারিয়েছেন বা বেতন পাচ্ছিলেন না তাদের সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে কল্যাণ ট্রাস্টের বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। করোনার প্রথম ঢেউয়ে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েন, অনেকে বেতন পাচ্ছিলেন না, অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন- সারা দেশের এমন তিন হাজার ৩৫০ জন সাংবাদিককে দলমত নির্বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়। করোনাকালে সাংবাদিকরা চাকরিচ্যুত হচ্ছে, এ বিষয় সম্মিলিত কাজটি কতটুকু এগিয়েছে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, করোনাকালে চাকরিচ্যুত করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। আমি জানি অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো সংবাদ মাধ্যমগুলো নানান সমস্যার সম্মুখীন। বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোও চেষ্টা করছে। মনে রাখতে হবে এগুলো কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এগুলো সবগুলো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। তারপরও আমরা আমাদের সাংবাদিক নেতাদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছি। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আছি। আমরা আশা করবো যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহাল করা হবে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।