ঢাকা: পুরান ঢাকার আরমানিটোলা খেলার মাঠ সংলগ্ন একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দগ্ধ ও ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ২১ জন।
নিহতরা হলেন- কবির, মার্কেটের প্রহরী রাসেল, রাসেলের ফুপা আরেক প্রহরী ওয়ালিউল্লাহ বেপারী (৭০) ও চতুর্থ তলার বাসিন্দা ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া। নিহতদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি চাঁদপুরে।কবির ওই ভবনের চিলেকোঠায় থেকে কাগজের বান্ডল বাধার কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তার ভাতিজা সাইফুল।আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে, ছবি: শাকিল আহমেদবংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, আগুনের ঘটনায় ভবন থেকে একজনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অন্তত ২২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে চারজনকে ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ও বাকিদের সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে, ছবি: শাকিল আহমেদ এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি টিম কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।জানা গেছে, আরমানিটোলার আরমানিয়ান স্ট্রিটের হাজী মুসা ম্যানসনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বাসিন্দারা আটকে পড়েন। ভবনটিতে ১৮টি পরিবার বসবাস করে। অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে প্রথমে আশপাশের ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। আটকে পড়া অনেককেই মুমূর্ষু অবস্থায় গ্রিল কেটে, জানালা ভেঙে, ছাদের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, এটি অপরিকল্পিত কেমিক্যাল মার্কেট। এ ভবনে আমরা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে পাইনি। এ ঘটনায় আমাদের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন।