কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে চতুর্থ দফার নির্বাচনে হিংসার রাজনীতি বহাল রয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু ও চারজনের আশঙ্কাজনকভাবে আহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে।তবে এখনো পর্যন্ত হিংসার যে খবরগুলো সামনে এসেছে তা উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।তৃণমূলের অভিযোগ, এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক সেনাবাহিনীর গুলিতে চার জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রত্যক্ষদর্শীদের কথামতো একদল যুবক বুথের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। তাই দেখে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীদের মত, কেন্দ্রীয় বাহিনী হয়তো ভেবেছে যে তারা বুথ দখল করতে আসছে সেই ভাবনা থেকে গুলি চালায়।তবে এভাবে কি গুলি চালানো যায়? কেন তাদের গ্রেফতার করা হলো না এই অভিযোগও করছেন ওখানকার প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি জানিয়েছেন বিনা প্ররোচণায় কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কথামতো গুলি চালিয়েছে তৃণমূল সমর্থকদের ওপর। যাতে তৃণমূল ভোটাররা ভয়ে ভোট দিতে না বেরোয়। ওই অঞ্চল তৃণমূল ভোটব্যাঙ্ক বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে কেন গুলি চালানো হয়েছে, এ বিষয়ে এখনো কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।অপরদিকে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে সকালে ভোটের লাইনে ১৮ বছরের এক বিজেপি সমর্থককে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি করে হত্যা করে বলে জানা গিয়েছে। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশিত প্রামানিক জানিয়েছেন, গুলির কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা। সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, যেসব কেন্দ্রীয়বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করবে তাদের ঘিরে ফেলে পুলিশকে জানান।অপরদিকে হুগলি জেলার চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর এসেছে। এছাড়া কলকাতার যাদবপুরে সংযুক্ত মোর্চার পোলিং এজেন্ট এবং ভোটারদের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার অভিযোগ এসেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।সব মিলিয়ে হিংসার রাজনীতির মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ চলছে।