গর্ভবতীর নানা প্রশ্নের মধ্যে থাকে:
প্রশ্ন-গর্ভধারণের শুরুতে পেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব
উত্তর-দু’টিই প্রেগনেন্সির প্রথম দিকের সাধারণ লক্ষণ।
প্রশ্ন-কীভাবে ক্লান্তি কাটিয়ে উঠবেন?
উত্তর-এটি বেশ সাধারণ লক্ষণ। চাপ নেবেন না। হালকা ব্যায়াম ও ঘরের কাজ করুন।
প্রশ্ন- শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে
উত্তর-হাইড্রেটেড থাকুন। বেশি পানি পান করুন, শারীরিক পরিশ্রম কমান এবং বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
প্রশ্ন-মূত্রনালীর সংক্রমণ
উত্তর-তাত্ক্ষণিক চিকিত্সা নিতে হবে। কারণ ব্যথা হলে গর্ভপাত হতে পারে
প্রশ্ন-যৌন সম্পর্ক করা কি নিরাপদ?
উত্তর-গর্ভবতীর ইচ্ছা, তবে পরের দিকে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
প্রশ্ন-এনআইপিটি পরীক্ষা কি গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর-এটি শিশুর জন্মগত অসঙ্গতিগুলো শনাক্ত করার জন্য একটি পরীক্ষা। পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফলাফলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। যদি জন্মগত অসঙ্গতির ইতিহাস থাকে তবে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিলে ভালো।
প্রশ্ন-অনেক বেশি স্রাব গেলে
উত্তর-যদি এটা থকথকে হয় তবে তা সংক্রমণের লক্ষণ নাহলে এটি স্বাভাবিক। আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
প্রশ্ন-বাচ্চার হার্টবিট অনুভব না করা
উত্তর-শুরু কয়েক সপ্তাহ হার্টবিট অনুভব এখনই করবেন না। এটা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
প্রশ্ন-ডায়েট সম্পর্কে পরামর্শ
উত্তর-ঘন ঘন অল্প অল্প করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। সকালে ৯ টার মধ্যে নাস্তা করা উচিত। সকাল ১১ টায় স্ন্যাকস খেতে পারেন। বেশি দেরি করে খাওয়া বা খাবারের মধ্যে খুব বেশি গ্যাপ পড়লে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
প্রশ্ন-টিকা
উত্তর-সময়মতো কাছের কোনো হাসপাতালে গিয়ে টিটিনাসের টিকাগুলো নিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন-লো লায়িং প্লাসেন্টা থাকলে
উত্তর-যৌন সম্পর্ক এবং কঠোর শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। ভ্রমণ নয় একদম এবং বাড়িতে চাপ-মুক্ত পরিবেশে থাকুন।
প্রশ্ন-ডেলিভারি
উত্তর-বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে আল্ট্রাসাউন্ড করে দেখে নিতে হবে গর্ভের শিশুর পজিশন। চিকিৎসকের পরামর্শেই প্রসবের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশ্ন- করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি
উত্তর-আলাদা করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। তবে অবশ্যই নিরাপদে থাকতে হবে। কোনো কারণে বাইরে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘরে থাকলেও বার বার হাত পরিষ্কার করতে হবে। যারা বাইরে থেকে ঘরে আসবেন, অবশ্যই যেন পোশাক বদলে হাত ধুয়ে আপনার রুমে আসে।
গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।