নিজস্ব প্রতিবেদক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণের এখনই সময়। দারিদ্র্য বিমোচন, অসমতা দূরীকরণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, বিদ্যমান আইনের সংশোধনের মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে শিশুশ্রম নিরসন সম্ভব। পাশাপাশি শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, তারা সামাজিক সম্পদ যা স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে। গতকাল বুধবার গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও সিএসও এলায়েন্সের উদ্যোগে ‘নো চাইল্ড লেবার : ফেয়ার সেয়ার টু অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেসন’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে দারিদ্র্য ৪০ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিরসন হবে, কারণ বিদ্যমান আইন সংশোধনসহ সার্বিকভাবে শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দরিদ্র শিশুদের বিদ্যালয়গামী করতে সরকার প্রনিয়ত কাজ করছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ শিশুশ্রমের অবসানের দিক থেকেও এগিয়ে আছে। ড. শিরীন শারমিন বলেন, অসমতা শিশুশ্রমের একটি অন্যতম কারণ। অসমতা দূরীকরণে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন। অসমতা দূরীকরণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মূল ধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। অসমতা দূর করে নারীদের মূল ধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ, মায়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে শিশুশ্রম নিরসন হয়ে আসবে। ফলশ্রুতিতে, শিশুরা অধিকতর বিদ্যালয়গামী হবে। এজন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যর্থী, আরমা দত্ত এমপি, ফজলে হোসেন বাদশাহ এমপি, শিরিন আকতার এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তমু হওজুমি, এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পৌতিয়ানেন প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।