বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লার বাড়ি এবং নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লার অন্তত তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন।স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লা বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন নির্বাচনী অফিসে বসে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ ৬০ থেকে ৭০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেন। প্রবেশের সময় তারা মসজিদের লাইট ও বাড়ির গেট ভাঙচুর করেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রিপন দাসের জয় হোক, রিপন দাস ভয় নেই বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। আমাদের অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এনাম মজুমদার, আসাদ মোল্লা ও কামরুল মোল্লা নামে আমার তিন কর্মীকে মারধর করেন। আমরা সবাই চিৎকার দিলে মসজিদে থাকা ইমাম সাহেব মাইকে ঘোষণা দেন। ঘোষণা শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হুমকী দেন। আমি নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ এবং এই ন্যাক্কারজনক হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আবু সাইদ বলেন, এশার নামাজের পরে মসজিদের ভিতর কয়েকজন মুসল্লী নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করে অনেকগুলো মোটরসাইকেল এসে মসজিদের সামনের লাইট ভাঙচুর করে স্লোগান দিতে থাকেন। ভয়ে মসজিদের ভিতর থেকে গেট বন্ধ করে দেই। ভিতর থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জব্বার মোল্লাসহ লোকজন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। আমি উপায়ন্ত না পেয়ে মাইকে ঘোষণা দেই, ঘোষণা শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান।স্থানীয় আলাউদ্দিন মোল্লা, মো. কবির শেখ ও মানিক লাল তেহরী বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচনের মত। ভোটাররা তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিবেন। কিন্তু একজন প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, মসজিদ ও অফিস ভাঙচুর এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন তারা।হামলার ঘটনা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, বনগ্রাম এলাকা থেকে র্যালি শেষে রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে জব্বার মোল্লার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমার ৩-৪ কর্মী আহত হয়েছেন।বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, হামলার ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সারারাত পুলিশ মোতায়েন ছিলো চেয়ারম্যান প্রার্থী জব্বার মোল্লার বাড়িতে। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।