নিজস্ব প্রতিবেদক : অভিনেতা শামীম আহমেদের সঙ্গে দুইদিন ধরে তার পরিবার যোগাযোগ করতে পারছিল না। সেজন্য তার স্ত্রী আশামনি থানায় জিডি করতেও গিয়েছিলেন।
সেই সূত্র ধরে সোমবার (২২ মার্চ) রাতে শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদও প্রকাশিত হয়। এরপর এইদিন রাতেই হদিস মেলে তার। সংবাদ দেখে তিনি নিজেই যোগাযোগ করেন পরিবারের সঙ্গে। জানান তিনি ভালো আছেন, শুটিংয়ে রয়েছেন এক-দুইদিনের মধ্যে বাসায় ফিরবেন।বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে শামীম আহমেদ জানান, তিনি নয় তার ফোন হারিয়েছে। তাই কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। বর্তমানে টঙ্গীতে একটি ইউটিউব চ্যানেলের শুটিংয়ে রয়েছেন এবং সুস্থ আছেন। শুটিং স্পট থেকে বাংলানিউজের কাছে নিজের ছবি পাঠিয়েছেন এবং ভিডিও কলেও কথা বলেছেন।মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শামীম আহমেদ বাংলানিজকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি গাজীপুরে দুইদিন শুটিং করে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে অন্য আরেকটি শুটিংয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আমার ফোন ছিনতাই হয়। এরপর সিলেট থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে টঙ্গীতে আসি। এখন এখানেই শুটিং করছি। নিজের মোবাইল না থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। সিমটাও তুলতে পারিনি। তবে আমি একেবারে সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছি। আসলে আমি না আমার ফোন হারিয়েছে। ’তিনি আরও বলেন, ‘বাসায় আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আজই (মঙ্গলবার) শুটিং শেষ করে বাসায় ফিরবো। ’ এর আগে সোমবার শামীম আহমেদের স্ত্রী আশামনি জানান, ১৪ মার্চ শুটিংয়ের জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফেরেননি শামীম। এরপর ১৯ মার্চ রাতে শামীম আহমেদের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় তার। তখন এই অভিনেতা জানান, তার ফোন কারা যেন ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি বাসে করে ঢাকায় ফিরছেন, বাসে তার পাশের সিটে থাকা যাত্রীর ফোন থেকে কল দিয়েছেন। এরপর থেকে আর শামীমের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল না। আত্মীয়-স্বজন এবং শামীমের বন্ধুসহ সবার বাসায় খোঁজ করে তাকে না পাওয়ায় রাজধানীর একটি থানায়ও গিয়েছেন আশামনি। কিন্তু যেহেতু ঘটনার স্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাই থানা জিডি নেয়নি।স্ত্রী সন্তান নিয়ে শামীম আহমেদ ঢাকার মালিবাগে থাকেন। তার একটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে রয়েছে। প্রায় দুই দশক ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত শামীম আহমেদ। কমেডি চরিত্রে টিভি নাটকে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। তার অভিনয়ে পথচলার ১৯৯৯ সালে ‘বন্ধন’ ধারাবাহিক দিয়ে। অভিনেত্রী আফসানা মিমির আগ্রহেই মহিলা সমিতির পিওন শামীম হয়ে উঠেছেন অভিনেতা। নাটকটির প্রোডাকশন ম্যানেজার ছিলেন তিনি। এক সময় অভাবের কারণে এই অভিনেতা রিকশা চালিয়েছেন, করেছেন কুলির কাজও। তার এমন সংগ্রামী জীবনের কথা কারোই অজানা নয়। এখন তিনি ইউটিউব কনটেন্টেই বেশি কাজ করেন।