মাগুরা: মাগুরা শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সিদ্দিকীয়া মাদরাসা মার্কেটে রূপালী ব্যাংকের নীচতলায় দুই নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে রোববার (২১ মার্চ) গভীর রাতে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় একজন নৈশপ্রহরী আহত হন।এ ঘটনায় পুলিশ একটি পিকআপভ্যান জব্দ করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে সিদ্দিকীয়া ও ডিসি অফিস মার্কেটের নৈশপ্রহরী গফফার বিশ্বাস ও মন্নুকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে একদল ডাকাত। তারা নৈশপ্রহরী মন্নুর মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। তিনি বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ সময় ডাকাত দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দেয়াল সংলগ্ন সিদ্দিকীয়া মার্কেটের নীচতলায় কামরুল ইসলামের সাইকেল পার্টস, ইজিবাইক ও ব্যাটারির দোকানের সামনে দুটি পিকআপভ্যান দাঁড় করিয়ে ২৩টি তালা কেটে দোকানে ঢুকে পড়ে। তারা সিসি ক্যামেরাগুলি উল্টিয়ে রাখে। ইতোমধ্যে নৈশপ্রহরী গফফার কৌশলে বাঁধন খুলে পাশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের খবর দিলে তারা সেখানে উপস্থিত হলে ডাকাতরা পিকআপভ্যান চালিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, ইতোপূর্বেও তার দোকানে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ব্যাংকের নীচতলা থেকে বারবার এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে থাকায় তারা ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। নৈশপ্রহরী গফফার বিশ্বাস জানান, তাদের দুজনকে বেঁধে এখানে তালা কাটার সময় শহরে পুলিশের টহল গাড়ি চলছিল। তাদের চোখ এড়িয়ে কিভাবে এমন ভয়াবহ ঘটনা ডাকাতরা ঘটাতে পারলো তিনি বুঝতে পারছেন না। ভাগ্যক্রমে তিনি বাঁধন খুলতে পারায় ও পাশেই ট্রেজারির পুলিশ সদস্যরা থাকায় ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারলেন ব্যবসায়ী কামরুল। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টিকে চুরির চেষ্টা হিসেবে দাবি করে প্রথমে পিকআপভ্যান জব্দের বিষয়টি তিনি জানেন না বলেন। পরবর্তীতে তিনি একটি পিকআপভ্যান পুলিশ লাইনে জব্দ আছে বলে সাংবাদিকদের জানান। মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশের টহল গাড়ি পিকআপভ্যানটিকে তাড়া করে আটক করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।