আন্তর্জাতিক ডেস্ক ; কথিত চীনা চাপের মুখে সিনোফার্ম কোভিড-১৯ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে শ্রীলংকা। ন্যাশনাল মেডিসিন রেগুলেটরি অথরিটি (এনএমআরএ) এই অনুমোদন দেয়।রাজ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী অধ্যাপক চান্না জয়সুমানা তা জানান। ওই টিকা অনুমোদনের জন্য মানসিক চাপ সইতে না পেরে পদত্যাগ করেন এনএমআরএর প্রধান। এর কয়েকদিনের মধ্যেই ওই টিকার অনুমোদন মিলল। ইকোনোমিক টাইমসের খবরে বলা হয়, এনএমআরএর প্রধান তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্যে খুশি ছিলেন না। এছাড়া সিনোফার্ম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়নি এখনও। শ্রীলংকা প্রাথমিকভাবে সিনোফার্মের টিকা নিতে আগ্রহী ছিল না। দেশটি শুধু কোভিশিল্ডের ওপরই নির্ভর করতে চেয়েছিল। কলম্বোতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানুয়ারি থেকে তাদের টিকিা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল। জনসম্মুখে তারা বিবৃতি প্রদান করছিল যে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাদের টিকা আসবে এবং অনুমোদন পাওয়া যাবে।এর আগে শ্রীলঙ্কাকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫ লাখ টিকা উপহার দেয় ভারত। এরপর ১৩.৫ মিলিয়ন টিকার অর্ডার দেয়। ভারতের কাছ থেকে টিকা উপহার পেয়ে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ভারতকে ধন্যবাদ জানান। করোনার বিরুদ্ধে চীনা টিকা অকার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার নার্স আর্নি কুসুমা সুকমা দেবী বেইজিংভিত্তিক সিনোভ্যাক বায়োটেকের করোনাভ্যাক টিকা নেওয়ার পর পরই মারা যান। পেরুর এক স্বেচ্ছাসেবক পরীক্ষামূলক একটি চীনা টিকার নেওযার পর নিউমোনিয়ায় মারা যান। সেখানে সিনোফার্মের টিকা টিকা স্থগিত করা হয়। অন্যদিকে চীনের টিকা নিয়ে ব্রাজিলেও মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। হংকং চীনা টিকার উপকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।