নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুয়ার খুললো মাসব্যাপী একুশের বইমেলার।বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।করোনা পরিস্থিতির কারণে গণভবন থেকে তিনি ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন এই মেলার।এসময় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সচিব বদরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়।এবার কবিতায় মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যে ইমতিয়ার শামীম, প্রবন্ধ/গবেষণায় বেগম আকতার কামাল, অনুবাদে সুরেশরঞ্জন বসাক, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনীতে ফেরদৌসী মজুমদার এবং ফোকলোর বিভাগে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বাইমেলা ঘুরে দেখেন। তার কিছুক্ষণ পরই সাধারণ দর্শনার্থী, লেখক ও পাঠকদের জন্য বইমেলার দুয়ার খুলে দেওয়া হয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা-২০২১ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হচ্ছে। এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। আর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজি অনুবাদের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা।রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ মেলার পরিসর এবার আরও বেড়েছে। বেড়েছে বইয়ের স্টল নিয়ে বসা প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা।প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট এলাকার মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট, মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।বাংলা একাডেমিসহ মেলায় অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বইয়ের এ উৎসবে বই বিক্রি করবে ২৫ শতাংশ ছাড়ে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ।