নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ‘আমার ফাউন্টেনপেন দিয়েই বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি সই হয়েছিল। ’সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশের প্রাণ’ শীর্ষক এ লেকচারের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বান কি মুন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।অনুষ্ঠানে বান কি মুন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমি কাজ করেছি। আমি তখন দিল্লিতে কোরিয়া দূতাবাসে একজন কর্মকর্তা ছিলাম। আমার ফাউন্টেনপেন দিয়েই বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি সই হয়েছিল। এটা আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা। ’তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক বড় নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে গড়তে আপ্রাণ কাজ করে গেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে অনুযায়ী কাজ করছেন।বান কি মুন বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি করেছে। শিক্ষাখাত, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা ইত্যাদিতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে তিনি জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে বান কি মুনের সম্পর্ক রয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য রোধে সারাজীবন কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার জনকই ছিলেন না, তিনি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিলেন।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতোই বান কি মুন সারা বিশ্বে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তারা দু’জনেই বিশ্ব শান্তির পক্ষে ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বান কি মুন ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।এতে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।