নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্ষীয়ান অভিনেতা ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন, শনিবার (১৩ মার্চ) বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ পেয়েছে। তবে বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফারুকের ছেলে রোশন হোসেন পাঠান শরৎ।শনিবার বিকেলে শরৎ বলেন, ‘আব্বুর আগে যে টিবি হয়েছিল, সেখান থেকে একটা ইনফেকশন হয়েছে। গত ৪ মার্চ উনি সিঙ্গাপুরে যান, সেখানে চেকআপের পর ইনফেকশনটা ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের সাধারণ বেডে ভর্তি আছেন। কিছুক্ষণ আগেও আব্বুর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছি। ওনার শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে, কিন্তু ভালো আছেন। সমস্যা ততটা জটিল না। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে আব্বু সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন। ’তিনি আরও বলেন, ‘আব্বুকে আইসিইউতে নেওয়ার বিষয়টি গুজব। ওনার কোনো তথ্য কেউ জানার দরকার হলে অন্য কারো সঙ্গে কথা না বলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। ’এর আগে গত বছর টিবি রোগ ধরা পড়ে ফারুকের। এছাড়া করোনা আক্রান্তও হন তিনি।প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের অত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।১৯৭৫ সালে তার অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ ও ‘নয়নমণি’, ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ বেশকিছু সিনেমায় ‘মিয়া ভাই’খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।