আয়শা আক্তার কেয়া, কো-ফাউন্ডার এবং প্রেসিডেন্ট ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ।তিনি বলেন, নারী দিবসে আমার প্রত্যাশা নারীর মূল্যায়ন হোক তার কর্মে, জ্ঞানে, বুদ্ধির প্রসারতায়, দূরদর্শিতায়, অর্থনীতিতে অবদানে, চিন্তার উৎকর্ষতায়, মননে-মগজে, সৃষ্টিশীলতায়। নারী আলোকিত হোক তার অনন্য স্বকীয়তায়, সম্মান, ভালবাসা, সফলতায় বিজয়ী হোক তার আপন সত্তায়। অহংকার থেকে দূরে থেকে বিনয়ী মুকুটে নারী জয় করুক ভুবন। নারী দিবসে সব নারীর প্রতি শ্রদ্ধা।খুলনা বিভাগীয় অনলাইন বিজনেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, আমি চাই নারী স্বাধীনতা। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেই কেবল ৮ মার্চের প্রকৃত তাৎপর্য আমরা অনুধাবন করতে পারবো। নারী দিবসে সেই চেতনা যেন জোরালো ভূমিকা পালন করে সেই স্বপ্নই বাংলাদেশের নারী সমাজ দেখবে বলে আশা করছি। মূল বিষয় হলো নারী মানুষ। এটি সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। স্বল্পপুঁজি নিয়েও নারীরা এখন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এমন অনেক নজির আছে খুলনায়। নারীদের প্রতিষ্ঠিত হয়ে দাঁড়ানোর খুব ভালো মাধ্যম হতে পারে অনলাইন ব্যবসা।ফাতেমা আফরোজ, ওনার অফ খুলনা অনলাইন শপিং। নানা ক্ষেত্রে খুলনার নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। ঘরে বসে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। তাই অনলাইন ব্যবসায়ের দিকে ঝুঁকছেন নারী উদ্যোক্তারা। সংসার সামলানোর পাশাপাশি স্বাধীনভাবে এ ব্যবসায় করতে পারা যায় বলে আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ নারীদের। তবে, সব শ্রেণির নারীর ক্ষমতায়ন এখনো হয়নি। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন নারীরা।সময় এসেছে নারীকে নিজ পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার। নারীর উন্নয়নের যেসব সমস্যা, এর সমাধানে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও মানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে নারী অধিকার রক্ষায়। যাতে কোনো নারী পিছিয়ে না পড়ে।জ্যোতি ফুড গার্ডেনের স্বত্বাধিকারী ফাতেমা জ্যোতি বলেন, আমি একজন নারী উদ্যোক্তা। আমি আমার কাজের মধ্য দিয়ে যেমন আমার স্বপ্নকে পৌঁছে নিতে চাই আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, ঠিক তেমনি আমি চাই আজকের দিনে সব নারীই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক। একজন শিক্ষিত সচেতন নারীই যেমন পারেন সংসার টাকে সুন্দর করে সাজাতে, ঠিক তেমনি বদলে দিতে পারেন সমাজের চিত্র। তাই এগিয়ে আসতে হবে সব শ্রেণী-পেশার নারীদের। আজ নারী বোঝা নয়, সমাজ উন্নয়নের কারিগর।যেসব ক্ষেত্রে নারী শুধুমাত্র প্রতিবন্ধকতার জন্য পিছিয়ে রয়েছে সেখানে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সব ধরনের পৃষ্টপোষকতা দিয়ে নারীর চলার পথ সুগম করতে হবে। তবেই নারীরা নিজের যোগ্যতায় প্রকৃত নারী হয়ে উঠবে এটাই আমার প্রত্যাশা।তানিয়া সুলতানা তানি, ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিউটিশিয়ান ওমেন্স মেকওভার।ওই ডিজাইনার বলেন, নারীবাদী হওয়া মানে মেয়েদের শক্তিশালী করা নয়, তারা এমনিতেই শক্তিশালী। এই পৃথিবী আমার বিষয়ে কি ভাবছে আমি জানি না। আমি ভাবছি আমি সেরা আর সেটাই সত্যি। মেয়েরা যখন শক্তিরূপা হয়ে ওঠে তখন পৃথিবীতে অনেক বড় পরিবর্তন আসে। ধাপে ধাপে উন্নয়নের মাধ্যমেই আজ নারী এখানে এসেছে। পুরুষের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে অনেক নারীই এখন ব্যবসা বাণিজ্যে ঝুঁকছেন। নারী দিবসের প্রত্যাশা নারীর উপর সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, হত্যা, নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা বন্ধ হোক চিরতরে।