স্পোর্টস ডেস্ক : আইরিশদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন শামীম হোসেন। আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার সাইফ হাসান এবং তানজিদ হাসান তামিম। উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। আইরিশদের প্রথম উইকেট এনে দেন প্রিটোরিয়াস। ব্যাট হাতে ৯০ রান করার পর বল হাতেও সাফল্যের দেখা পান তিনি। ১৭ রান করা তামিমকে সাজঘরে ফেরান তিনি। তামিম ফিরলেও মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ বড় করতে থাকেন সাইফ। একটা সময় বড় ইনিংস খেলবেন মনে করলেও তাকে থামতে হয় ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। গেটাকের বলে ৫৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে সাইফ বিদায় নিলে দলের হাল ধরেন জয় এবং ইয়াসির আলী। এই দুই ব্যাটসম্যান জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে এই দুইজনের জুটি থামান হোয়াইট। ফলে ৩১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ইয়াসিরকে। তার বিদায়ের পর সেঞ্চুরির পথে থাকা মাহমুদুলও বিদায় নেন। দলীয় ১৭২ রানে হোয়াইটের বলে সাজঘরে ফিরতে হয় ৯৫ বলে ৬৬ রান করা মাহমুদুলকে। ইয়াসির-মাহমুদুলের বিদায়ের পর দলের জয়ের কাজটা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়লে সেটি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় থাকেন তৌহিদ হৃদয় এবং শামিম হোসেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪২ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেন তৌহিদ। তাকে সাজঘরে ফেরার পর রান আউটের শিকার হন আকবরও। আকবরের বিদায়ে পর ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তবুও শেষদিকে আশার আলো হয়ে ক্রিজে ছিলেন শামীম। একাই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজন হলে প্রথম বলেই মিড উইকেটে চার মারেন সুমন। জয়ের জন্য বাকি কাজটা একাই করেন শামীম। এডায়ের চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে দুই বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রুহান প্রিটোরিয়াসের ১২৫ বলে ৯০ রানের সুবাধে ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড উলভস। প্রিটোরিয়াস বাদেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ম্যাককুলাম, ডোহেনি, ট্যাক্টর। শেষদিকে ২৫ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন গেটকাটে এবং ৮ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেলানি। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন রাকিবুল হাসান এবং সুমন খান এবং একটি করে উইকেট শিকার করেন মুকিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড উলভস ২৬৩/৭ (ওভার ৫০)
প্রিটোরিয়াস ৯০, ম্যাককুলাম ৪১; রাকিবুল ২-৩৯
বাংলাদেশ ইমার্জিং ২৬৪/৬ (ওভার ৪৯.৪)
মাহমুদুল হাসান ৬৬, শামীম ৫৩*, সাইফ ৩৬; হোয়াইট ২-৪৫