আন্তর্জাতিক ডেস্ক :চীনের বিরুদ্ধে উইগুর গণহত্যার অভিযোগ দিন দিন জোরালো হচ্ছে। আমেরিকার পর সম্প্রতি কানাডাও বলেছে, উইগুরদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে চীন।বন্দি শিবিরে আটকে রাখা উইগুর নারীদের ধগণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে চীন। যারা এ বিষয়ে সাক্ষী দিয়েছেন, তাদের অপমান করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে বেইজিং। জিনজিয়াংয়ে কথিত ‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’ নারী অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়ে বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, শিবিরে আটক নারীরা যৌন নির্যাতন, আধুনিক দাসত্ব এবং জোর পূর্বক বন্ধ্যাকরণের শিকার হচ্ছে।গত সপ্তাহে নিয়মিত দৈনিক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জিনজিয়াং-এ যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের ছবি তুলে ধরেন।ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে চীন। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতি তাদের আচরণের উপর বৈশ্বিক চাপ মোকাবেলার জন্য একটি প্রচারণার অংশ হিসেবে তারা উইগুর নারীদের উর্বরতা, লিঙ্গ এবং এসটিডি সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিবরণ প্রকাশ করেছে।চীনা কর্তৃপক্ষ কিছু নারীর নাম প্রকাশ করেছে এবং তাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যতথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। কারো কারো বিরুদ্ধে যৌন সংক্রামক রোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা চীনের একটি প্রচারাভিযান। এই প্রচারাভিযানে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ব্রিফিংয়ে জিনজিয়াংয়ে বাসিন্দাদের ছবি এবং পরিবারের সদস্যদের বিবৃতিসহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ইতিহাসের অধ্যাপক এবং জিনজিয়াং রাজনীতি বিশেষজ্ঞ জেমস মিলওয়ার্ড বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি নারীদের এই সাক্ষ্য নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, তারা যা বলছে এটা তার বিপরীত চিত্র। তারা সেখানে যা করছে, তা কি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই?উইগুর নারীদের ক্যাম্পে আটক করার প্রক্রিয়া শুরুর আগে চীন সরকারের বক্তব্য ছিল, উইগুর নারীরা শিশু তৈরির মেশিন।এদিকে, চীন শিবিরে আটক মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বেইজিং প্রাথমিকভাবে শিবিরের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও এখন দাবি করে যে সেগুলো বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বেইজিং জিনজিয়াং-এর অভ্যন্তরীণ কর্মসূচির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। সাংবাদিক এবং কূটনীতিকদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত সরকারি সফরের বাইরে শিবিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না