নিজস্ব প্রতিবেদক : প্যারাসুট, কুমারিকা, ডাবর আমলা, কিউট নারিকেল তেল কিংবা মেরিল গ্লিসারিন- সবই তৈরি হচ্ছে পুরান ঢাকার সাতরওজা এলাকার একটি আবাসিক ভবনে। আর সেসব পণ্য শুধু ঢাকায নয়, চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলের ডিস্ট্রিবিউটরের হাত ধরে চলে যাচ্ছে গ্রাহকের হাতে।সাত রওজার ওই আবাসিক ভবনেই এসব ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে নুরুজ্জামান কসমেটিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান।বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুর থেকে বিএসটিআইর অনুমোদনহীন ওই নকল প্রসাধনী কারখানায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি ও অনুমোদন না নিয়ে বাজারজাতকরণের অভিযোগে বাড়ির মালিকসহ দু’জনকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে অভিযানের খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মূল মালিক নুরুজ্জামান পালিয়ে যান।অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, প্রতিষ্ঠানটি বিএসটিআই কিংবা ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি না নিয়েই সাতরওজার ১৩৫/১ আবাসিক ভবনে কারখানা পরিচালনা করছিল। এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল তেল তৈরি করে প্যারাসুট, কুমারিকা, ডাবর আমলা, কিউট নারিকেল তেল এবং মেরিল গ্লিসারিন নকল মোড়কে বাজারজাত করে আসছিল।তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে ওই কারখানা থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা সমমূল্যের ভেজাল পণ্য জব্দ করে বিএসটিআই কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার আইনে প্রতিষ্ঠানটির কারিগর মো. আকতার হোসেনকে (২১) তিন লাখ টাকা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ব্যবসায়িক অংশীদার মো. আরমান হোসেনকে (৩৮) তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।চক্রটি প্রায় আড়াই বছর ধরে এভাবেই নকল তেল ও গ্লিসারিন বাজারজাত করে আসছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা ঘনঘন নিজেদের বাসা পরিবর্তন করতেন। এ ব্যবসা পরিচালনার জন্য তারা শক্তিশালী ডিস্ট্রিবিউটর সিন্ডিকেট মেনটেইন করতেন বলেও জানান পলাশ কুমার বসু।