নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও আটজন নারী। ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ও দুইজন বাসায় মারা যান। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৩৭৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৬৯৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৭৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৫২৪টি। এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৯৯ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ১১৬ জন। এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮২৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৯২ হাজার ৭৮৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সাতজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়। এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হন ৩৬৬ জন। সে হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ১৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক শূন্য ৫৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃত্যু আট হাজার ৩৭৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৩৩৫ জন (৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ) ও নারী দুই হাজার ৩৯ জন (২৪ শূন্য ২৫ শতাংশ)। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুইজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১০ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রামে দুইজন, রাজশাহীতে দুইজন, খুলনায় একজন ও রংপুরে একজন মারা যান।