দেশের দুই সামরিক শাসকই ভাষা মতিনকে মন্ত্রী হতে বলেছিলেন

দেশের দুই সামরিক শাসকই ভাষা মতিনকে মন্ত্রী হতে বলেছিলেন

সমাচারের সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে মনিকা মতিন
নূরন নবী বাবুল
গুলবদন নেসা মনিকা-মনিকা মতিন। ১৯৪৫ সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মেছিলেন। পিতা মোল্লা মোহাম্মদ ফকির, মাতা গোলাপজান নেসা। ১১ভাইবোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। ১৯৬২ সালে ঈশ্বরদী বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, রাজশাহী গার্লস কলেজ থেকে ’৬৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে ৮বছর দীর্ঘ কারাবাস থেকে মুক্ত হলে ১৯৬৬ সালে ভাষা মতিনের (আব্দুল মতিন) সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন গুলবদন নেসা মনিকা। সেই থেকে তিনি মনিকা মতিন। ভাষা মতিনের আমৃত্যু সহধর্মিণী-সহযোদ্ধা ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তাঁরা একসাথে ছিলেন। একে অপরের পরিপূরক হিসাবে।
মনিকা মতিন তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের কথা বলেছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা-উপলব্ধির আলোকে ২০২১ এর ২১ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি নূরন নবী বাবুল।
সমাচারঃ কেমন আছেন ? কেমন চলছে দিনকাল?
মনিকা মতিনঃ আর থাকা। দেশ যেভাবে আছে সেই ভাবে আছি। বেঁচে আছি এইতো।
সমাচারঃ কথায় তো হতাশার সুর। ভালো থাকতে পারছেন না ? স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে-
মনিকা মতিনঃ (পাল্টা প্রশ্ন করেন) আপনি ভালো আছেন ? তা থাকতে পারেন হয়তো। কিন্তু সামগ্রীকভাবে কেমন একটা অবস্থার মধ্যে দেশ। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। এই অবস্থায় ভালো থাকি কিভাবে? যদিও সবাই মিলে আমরা ভালো থাকতে চেয়েছিলাম। সেই জন্যই তো বাংলাদেশ করেছিলাম।
সমাচারঃ আপনার বাল্য-কৈশোর বিষয়ে কিছু বলেন-
মনিকা মতিনঃ ঈশ্বরদীতে জন্মেছিলাম ১৯৪৫ সালে। পিতা ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত। রেলবিভাগে চাকরি করতেন। আমরা ছিলাম ১১ ভাই-বোন। তখনকার দিনে মুসলমান মেয়েদের পড়ালেখা সহজ ছিলো না। তারপরও বাবা-মার উৎসাহে আগ্রহে আমরা সব ভাইবোন পড়ালেখা করেছি। আমি ঈশ্বরদী বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক পাস করি। সে সময় আমাদের বাড়ীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যাতায়াত ছিলো। মওলানা ভাসানী অনেকবার আমাদের ঈশ্বরদীর বাড়ীতে এসেছেন, থেকেছেন। তখনকার দিনে এমনি একটি পরিবেশে আমরা বড় হয়েছি। দেশের দুই সামরিক
(প্রথম পৃষ্ঠার পর)
১৯৬৫সালে রাজশাহী গার্লস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করি।
সমাচারঃ ভাষা মতিনের সাথে কখন পরিচয় হয়-
মনিকা মতিনঃ আমি ইন্টার পাস করেই ঈশ্বরদী বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি শুরু করি। আমাদের বাড়িতে অনেক রাজনৈতিক বইপত্র ছিলো। সেগুলো নিয়মিত পড়াশোনা করতাম। দেশ দুনিয়ার মানুষের খোঁজখবর জানতাম। মতিন সাহেবের নামডাক আগেই শুনেছি। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা এবং মিলিটারি শাসক আইয়ুব খানের বিরোধী একজন সাহসী নেতা হিসাবে তিনি পাবনায় এমনকি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বেশ পরিচিত ছিলেন। তাঁকে ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক কারণে কারাগারে বন্দী থাকতে হয়। ’৬৬ সালে ছাড়া পান। তখন মতিন সাহেবের বয়স ৪০বছর। তাঁর পার্টির লোকজন তাঁকে বিয়ে দেবার জন্য চাপ দিতে থাকে। তিনি বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। কারণ একজন একনিষ্ঠ রাজনৈতিক সংগঠক হিসাবে তাঁর সেই প্রস্তুতি ছিলো না। কিন্তু তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে রাজি করান এবং তিনি শর্ত দেন তাঁর যিনি স্ত্রী হবেন তাকে কখনও রাজনীতি থেকে বিরত হতে বলতে পারবেন না। আমার কাছে সেই প্রস্তাব এলে আমি রাজি হই এবং মতিন সাহেবের সাথে আমার বিধি মোতাবেক বিয়ে হয়। এইভাবে আমার জীবন আব্দুল মতিনের সাথে জড়িয়ে যায়। যা অক্ষুণ্ন ছিলো তাঁর মৃত্যু অবধি। এবং মৃতদেহ তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হস্তান্তর করা পর্যন্ত।
সমাচারঃ আব্দুল মতিনতো হয়েছিলেন ভাষা মতিন- সেই বিষয়ে কিছু বলুন-
মনিকা মতিনঃ এবিষয়ে আমার নতুন করে কিছু বলার নাই। ১৯৪৭ সালের পর থেকে যারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকে যুক্তিযুক্ত মনে করেননি, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আব্দুল মতিন। কার্জন হলের সমাবেশে ছাত্রনেতা আব্দুল মতিন জিন্নার মুখের উপর নো নো বলেছিলেন। আপনারা তা জানেন। এরপর বাঙালী জাতিসত্ত্বার উন্মেষ হয়েছিলো ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তদানের মধ্যদিয়ে। সেখানেও তাঁর ভূমিকা ছিলো অগ্রগন্য। সেই ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের জন্য তখন থেকে তিনি হয়ে যান ভাষা মতিন।
সমাচারঃ তারপর-
মনিকা মতিনঃ আমার বিয়ে হয়ে গেলেও আমি আমার শিক্ষকতা এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ডিগ্রি ক্লাসের পড়ালেখা চালিয়ে যাই। মতিন সাহেবের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালিতে। সেখানে অনেকবার গেছি। সেখানে গ্রামের মানুষের সাথে আমার জানাশোনার সুযোগ হয়েছে ব্যাপকভাবে। ১৯৬৮সালে আমি ডিগ্রী পাস করি।
সমাচারঃ সেই সময়ের সামরিক শাসক আইয়ুববিরোধী উত্তাল দিনের কথা কিছু বলুন-
মনিকা মতিনঃ ১৯৬৮ সালে আমি স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফুলটাইম রাজনৈতিক সংগঠক হিসাবে আব্দুল মতিনের সাথে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় পাবনার বেড়া থানার নারীদের সংগঠিত করার কাজ। কৃষকদের মধ্যে মহিলা বাহিনী গড়ে তুলি বেড়া থানার সকল ইউনিয়নে। বাঁশের লাঠি চালানো এবং শারীরিকভাবে সবল থাকার বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষিত হই। সে এক অসাধারণ উন্মাদনা-উত্তেজনা। শেখ মুজিবের মুক্তির জন্য সারাদেশে আন্দোলন চলছিলো। তিনি তখনও বঙ্গবন্ধু হননি। ’৬৯-এ ডক্টর জোহা শহীদ হন। পাক সামরিক জান্তা তাঁকে মুক্তি দেন। মওলানা ভাসানী হুঙ্কার দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাওয়ের কথা বলেন। দেশের সমস্ত মানুষ তখন একতাবদ্ধ দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে। ’৭০-এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রায় সকল আসনে জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অবিসাংবাদিত নেতা হিসাবে জাতির সামনে প্রমাণিত হন।
সমাচারঃ ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের কথা-
মনিকা মতিনঃ আমরা জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করলেও পাক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করে। মানুষের আর অপেক্ষা করার সময় ছিলো না। ৭মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণ দেন। বলতে গেলে সেটি ছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৬মার্চের পরে সর্বাত্মক স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যুদ্ধের শুরুর দিকে আমার আপন বড় ভাই ফজলুর রহমান মোল্লা যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হন। আমরা সমগ্র পাবনায় প্রতিরোধ যুদ্ধের মধ্যদিয়ে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করি। মওলানা ভাসানী ভারতে গিয়ে স্বাধীন বাংলা সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করতে থাকেন। ডিসেম্বরে ভারত আমাদের স্বীকৃতি দেয়। এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ একটি দেশ হিসাবে মুক্তিলাভ করে। জাতি পায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা।
সমাচারঃ ’৭১-এর পর কী হলো-
মনিকা মতিনঃ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এলেন। যেন বাঙ্গালির স্বাধীনতা সেদিন পূর্ণতা পেলো। জাতির সামনে তখন অর্থনৈতিক মুক্তির সুতীব্র আকাঙ্খা। আকাঙ্খা সামাজিক ন্যায় বিচারের। বঙ্গবন্ধু অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সুবিধাবাদী মহল বেপরোয়া হয়ে উঠে। ’৭২ থেকে ’৭৪ পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বিনির্মাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা যেন হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলো। অসাধু ব্যক্তিদের চক্রান্তে। শেষ বঙ্গবন্ধু বাকশাল ঘোষণা করে চেষ্টা করেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি চক্রান্তের শিকার হয়ে এক সামরিক ক্যুয়ের মাধ্যমে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির ললাটে লেপন করা হয় কলংকের কালিমা। সে এক দুর্ভাগ্যজনক অধ্যায়। সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় চলে আসেন। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি দল গঠন করেন। পাক জান্তার সহযোগীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করেন। এমনকি শাহ আজিজুর রহমানের মত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বানান। এই সময় আব্দুল মতিনকেও মেজর জেনারেল জিয়া মন্ত্রী করার প্রস্তাবি দলে তিনি তা সাহসের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন। যেখানে অনেকেই তখন ক্ষমতার লোভে তার সাথে যোগ দিতে থাকেন। সব অর্জন যেন হারিয়ে যেতে থাকে।
১৯৮০ সালে চট্টগ্রামে মিলিটারি ক্যু-এর মধ্যদিয়ে জিয়া অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। আর এক মিলিটারি কর্মকর্তা এরশাদ ক্ষমতায় চলে আসেন। তিনিও একইভাবে দল গঠনের চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় আব্দুল মতিন এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মিলিটারি শাসক এরশাদ তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে মন্ত্রী হবার প্রস্তাব করলে আব্দুল মতিন আবারও তা প্রত্যাখ্যান করে এক নির্লোভ রাজনৈতিক মানুষ হিসাবে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন। যা সমসাময়িককালে বিরল।
শত অভাব-অভিযোগের মধ্যেও ভাষা মতিন তাঁর নীতি-আদর্শের সাথে আপোষ করেন নাই। মানুষ তা জানে। এই প্রজন্মকে তা জানাবার দরকার আছে। দেশপ্রেম কিংবা আদর্শের রাজনীতি বলতে কী বুঝায় তা তুলে ধরতে ভাষা মতিনের কথা প্রজন্ম জানলে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হবার প্রেরণা তারা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সমাচারঃ আপনার সংসার জীবনের কথা, ব্যক্তি জীবনের কিছু কথা যদি বলতেন-
মনিকা মতিনঃ আমি সব সময় আব্দুল মতিনের সকল আদর্শিক কাজের সহযোগী ছিলাম। তাঁর আদর্শই আমাকে মুগ্ধ করে রাখতো। আমার না পাওয়ার কোন অভিযোগ তাঁর প্রতি ছিলো না। যদিও অভাবের সংসার ছিলো আমাদের। কখনও না খেয়েও থাকতে হয়েছে। আমি নিজে জীবন-জীবিকার জন্য কাজ করেছি।
আমাদের দুই মেয়ে শুকু এবং শোভন। তাদেরকে অনেক কষ্ট হলেও লেখাপড়া করিয়েছি। বড়জন ছবি নির্মাণের সাথে জড়িত। তার ৩ ছেলে- মেয়ে। ছোটজন একটি বেসরকারী স্কুলে শিক্ষকতা করে। তার এক মেয়ে। আমি পালাক্রমে মেয়েদের সাথে থাকি। আব্দুল মতিনও এক মেয়ের বাসায় থাকতো। ২০১৪ সালের অক্টোবরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কথামত মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে দান করে দিয়েছি।
সমাচারঃ আপনার আর কী পরিকল্পনা আছে-
মনিকা মতিনঃ বর্তমানে আমার বয়স চলছে ৭৭বছর। মাঝে মধ্যে অসুস্থ হলেও মনে হয় আরও অনেকদিন বাঁচবো। কিন্তু বাঁচতে ইচ্ছে করে না। যে প্রত্যাশা নিয়ে সকল ব্যক্তিসুখ বা ব্যক্তি চাওয়া বাদ দিয়ে দেশের জন্য, মানুষের জন্য রাজনীতি শুরু করেছিলাম, তা অর্জিত হয়নি। মনে হয় সব নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রমজীবি মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি। সহসা ভালো কিছু হবে বলেও মনে হয় না।
সমাচারঃ তাহলে কি হবে আগামীতে-
মনিকা মতিনঃ মনে হয় আরও খারাপের দিকে যাবে দেশ-দুনিয়া। মারামারি খুনখারাবি হবে। না হলেই ভালো। মনের ভিতরের সেই স্বপ্ন রয়ে গেছে- একদিন দুনিয়ায় সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা হবে। মুক্তি পাবে মেহনতি জনগণ। সেটি আমার একান্ত চাওয়া। আমি থাকি বা না থাকি।
সমাচারঃ আপনার চাওয়া পূর্ণ হোক। আপনাকে অনেক অনেক সালাম, ধন্যবাদ।
মনিকা মতিনঃ আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

১৬৯ কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করলো রাসিক

মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচি-৩ পরকল্পের চেক বিতরণ