সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, আর কিছু দিন পর জন্ম দেবেন ফুটফুটে সন্তান। কিন্তু তা আর হল না। অন্তঃসত্ত্বা সেই স্ত্রীকে ১০০০ ফুট উঁচু থেকে ধাক্কা দিয়ে খাদে ফেলে দিলেন পাষণ্ড স্বামী! মূলত লোভে পড়েই তিনি এই কাজ করেছেন। বীমার টাকা হাতিয়ে নিতেই স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করেন তিনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়।২০১৮ সালের ঘটনা। দক্ষিণ–পূর্ব তুরস্কের মুগলা শহরের বাসিন্দা ৪০ বছরের হাকান আয়সাল স্ত্রী সামরাকে নিয়ে তুরস্কের বাটারফ্লাই ভ্যালিতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। সেখানে ১০০০ ফুট উচ্চতায় স্বামী–স্ত্রী একসঙ্গে সেলফি তোলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটায়। এরপরই ঘটে মর্মান্তিক কাণ্ড। স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় পাষণ্ড স্বামী। মারা যান সামরা। এরপরই গ্রেফতার করা হয় হাকানকে।মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে ঘটনার নেপথ্যের কারণ। ঘটনার কিছুদিন আগেই স্ত্রীর নামে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৯ লাখ টাকার বীমা করিয়েছিলেন হাকান। একমাত্র নমিনি ছিলেন তিনি। বীমার শর্তানুযায়ী স্ত্রীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পুরো টাকাটাই আসবে হাকানের হাতে। সেই টাকা আত্মসাৎ করতেই স্ত্রীকে হত্যার পর দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন হাকান। আইনজীবীদের কথায়, ঘটনার দিন তিন ঘণ্টা সেখানে ছিল হাকান। গোটা এলাকা জনশূন্য হতেই স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপরই বীমার টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়।তুরস্কের স্থানীয় আদালত হাকানকে কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন। সামরার পরিবার দাবি করেছিল, তাদের মেয়ের নাম করে একাধিক ঋণও নিয়েছিলেন হাকান। সেই ঋণ শোধ করতেই সামরাকে হত্যার অভিযোগ এনেছিল তার পরিবার।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।