ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা আগামী ৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।সাঈদীর অন্যতম আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করা হয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল রিভিশন আবেদনের শুনানি হবে। আমরা আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আদালত তাই আদালত হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। সেদিন আদেশ দাখিল না হলে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। গত ১১ জানুয়ারি এই মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। একইসঙ্গে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বুধবার সকালে পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে সাঈদীকে হাজির করা হয়। মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ মোট ছয়জন আসামি। অপর পাঁচ আসামি হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।আসামিদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আছেন। আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছেন। এই মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল। তবে সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহান মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংস্থাটির সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ নিয়ে বর্তমানে করাগারে রয়েছেন।