ঢাকা: জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম এই সদস্যকে পরশ অভিনন্দন জানান।রাজধানীর হোটেল রেডিসনে গত ১২ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি নির্বাচিত হন তরুণ ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। জেসিআই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণ নাগরিকদের একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যে সংগঠন কাজ করে দক্ষতা, জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে। যেন সঠিক নাগরিক হিসেবে তরুণ সমাজ তার দায়িত্ব পালন করতে পারে। জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট গত ১৪ নভেম্বর ঘোষিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিসি মেম্বার হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সিভয়েসটুয়েন্টিফোরডটকম’র সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়াজ মোর্শেদ এলিট স্কুলজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছেন। এলিট ২০০০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০২ সালে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০০৬ সালে রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার পাশাপাশি তিনি নিজ ব্যবসায় মনোযোগ দেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী তাসমিনা আহমেদ শ্রাবণী একজন নারী উদ্যোক্তা।
জেসিআই বাংলাদেশের নতুন কমিটির যাত্রা শুরু তরুণ এ রাজনীতিক রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি চট্টগ্রাম খুলশী ক্লাব লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি, জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশান চট্টগ্রামের চিফ কো-অর্ডিনেটর, ব্রাদার্স ইউনিয়ন (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ক্রিকেট কমিটির সভাপতি, একুশে মেলা পরিষদের মহাসচিব, কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের চিফ অ্যাডভাইজর, চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের সদস্য ও শাহীন গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের আজীবন সদস্য। সম্প্রতি তৈরি করেছেন ‘নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ব্লাড ডোনার্স ক্লাব’। স্বেচ্ছাসেবীমূলক এ সংগঠনের মাধ্যমে দিনে দু’তিনজনকে রক্তদান করা হয়।