সেখান থেকে তাদের নেওয়া হবে ভাসানচরে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন জানান, স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী এরকম প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেককে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ ও ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের ট্রলারে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।জানা যায়, চতুর্থ ধাপের প্রথম দল অর্থ্যাৎ রোববার উখিয়ার বালখালী ক্যাম্প নম্বর-৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ও ১৮ নম্বর ক্যাম্প থেকে এবং সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুতুপালং-১ ইস্ট, ২ ইস্ট, এবং ২ ওয়েস্ট ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। এর আগে তিন দফায় প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও সমুদ্র পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় উদ্ধার ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকেও ভাসানচরে নেওয়া হয়।স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে থেকে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়।