ঢাকা: বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ। যার কারণে প্রতিবার এ দুই দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদা থাকে অনেক বেশি।
রাজধানীর শাহবাগের ফুল বিক্রেতারা অনেক বেশি ফুল সংগ্রহ করেন পাইকারি বাজার থেকে। দিবসের আগে ও দিবসের দিন বিক্রির আশায়। তবে করোনার কারণে এবার অনুষ্ঠান সীমিত করাসহ বিভিন্ন কারণে ফুল বিক্রি কমেছে গতবারের তুলনায়। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগের ফুল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল বেলা বিক্রি কম হলেও সন্ধ্যার পর তুলনামূলক বিক্রি বেড়েছে। বসন্ত আগামী রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হলেও আজকে অনেককে দেখা গেছে বসন্তের শাড়ি ও পাঞ্জাবি পড়ে ঘুরতে। প্রিয়জনকে ফুল কিনে দিয়ে এবং মাথায় টায়রা দিয়ে ছবি তুলতে।অহনা ফুল কুটিরের বিক্রেতা নবীন আহসান জিতু বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি নেই। আর দুই দিবস একসঙ্গে হওয়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে। আগে দু’দিনই ভালো ফুল বিক্রি হতো।ফুলের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলুদ গোলাপ ও পিংক কালারের গোলাপ ৮০ টাকা, গ্রিন মাম ২০০ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতি স্টিক ৩০ টাকা, লাল গোলাপ আকার ভেদে ৩০ থেকে ৪০, ৫০ ও ৬০ টাকা করে বিক্রি করছি।চাহিদা না থাকায় দামও কমিয়ে দিয়েছেন উল্লেখ করে জিতু বলেন, করোনার কারণে অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় ফুল বিক্রি কমে গেছে। এ কারণে গতবার ২০০ টাকা করে টায়রা বিক্রি করলেও এবার ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছি।শাহবাগ মোড়ের দিকের দোকানগুলোতে বিক্রি থাকলেও থানার দিকের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। আলাউদ্দীন পুষ্প বিতানের রাবেয়া বেগম বলেন, মেট্রোরেলের কাজ চলার কারণে আমাদের দোকানের দিকে ক্রেতা আসে না। এ কারণে আমরা কালেকশন করলেও সে অনুপাতে বিক্রি হচ্ছে না।