নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৫৩ জনের, যা গত বছরের ৬ মের পর সবচেয়ে কম।সর্বশেষ গতবছরের ৬ মে তিন জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর গত ২৯ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪০৪ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৫ জনে।শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪২২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৫টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ১১৪টি। আগের মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩২৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ২২ হাজার ৩৪৫টি।এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার দুই দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত পাঁচ জনের মধ্যে চার পুরুষ, নারী এক জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চার জন ও চট্টগ্রাম বিভাগে এক রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন পাঁচ জন।মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৭৬৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৭৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৯২ জন।