নাইক্ষ্যংছড়িতে ইউএসআইডি-এর সংস্কার করা স্কুল ভবন হস্তান্তর

নাইক্ষ্যংছড়িতে ইউএসআইডি-এর সংস্কার করা স্কুল ভবন হস্তান্তর
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ও সেভ দ্য চিলড্রেনের কারিগরি সহায়তায় এবং গ্রিন হিলের বাস্তবায়নে ‘আশ্রয় কেন্দ্র’ প্রকল্পের আওতায় মেরামত ও সংস্কার করা ভবনটি হস্তান্তর করা হয়েছে।এতে করে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম ইউনিয়নের বাইশপারী গ্রামের এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ৪০০ জন দুর্যোগ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক।বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি, বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শফিউল আলম ও সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওনো ভ্যান মানেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো.আতিকুল হক বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় এই বিদ্যালয়টি অবশ্যই একটি দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় হিসেবে পরিগণিত হবে। সেভ দ্য চিলড্রেনকে আমি অনুরোধ করবো এ ধরনের উদ্যোগ চলমান রেখে আরও অনেক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করতে।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নের কাজ শেষ করে সেভ দ্য চিলড্রেন বিদ্যালয়টি আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ, আমরা আশা করবো এমন কাজ ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওনো ভ্যান মানেন বলেন, স্কুল ড্রেস পরা কিছু উৎসাহী চোখ দেখতে পাচ্ছি, তোমরা নিশ্চয়ই নতুনভাবে সজ্জিত তোমাদের এই বিদ্যালয়টি দেখে খুশি হয়েছ।অনুষ্ঠানে সেভ দ্য চিলড্রেনের কক্সবাজার এরিয়া ডিরেক্টর, স্কুল পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক শিক্ষক সমিতির সদস্য, ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য এবং স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশিষ্ট অতিথিরা বিদ্যালয় চত্বরে চারা রোপণ করেন।ইউএসএআইডি-এর ‘আশ্রয় কেন্দ্র’ প্রকল্প তথা মাল্টি-পারপাস সাইক্লোন শেল্টার মেরামত ও সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় সেভ দ্য চিলড্রেন বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কক্সবাজার ও বান্দরবানের ৪৬টি বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের কাজ করছে যার মধ্যে ২৩টি বিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি পানি, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ, পেইন্টিং, শিশুবান্ধব আসবাবপত্র হস্তান্তর এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করছে। একই সঙ্গে যেকোনো দুর্যোগে সময় অস্থায়ী আবাসন হিসেবেও যাতে এই বিদ্যালয়গুলো ব্যবহার করা যায় সেটিও নিশ্চিত করছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন