এর পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, স্বর্ণের দাম নির্ধারণে নতুন নিয়ম আসছে। এতে স্বর্ণ ও রূপার দাম বেড়ে যাবে।বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, স্বর্ণের দামের সব সিদ্ধান্তই অতীতের মতো যথারীতি লিখিতভাবে সবাইকে জানানো হবে। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাজুস বলেছে, আপাতত বাংলাদেশের সব জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণকে আগের (২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি নোটিশে প্রকাশিত) দামে স্বর্ণ ও রূপা ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারির ইজিএমে স্বর্ণের দামের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে পুনরায় দাম নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত কণ্ঠভোটে পাস হলে অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য বিষয়টিতে বিদ্যমান আইনের আলোকে পরামর্শ চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট শাখায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।এছাড়া সিদ্ধান্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি বিশদ বিশ্লেষণ ও পরিবর্তিত স্বর্ণের দাম ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কী ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে বা করোনার সময়ে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তের ফলে এ সেক্টর কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে তার মূল্যায়ন করে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চিঠি পাওয়ার পর নতুন সিদ্ধান্ত প্রয়োগের সময় নির্ধারণের জন্য বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আয়োজন করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাজুস।গত ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ জানুয়ারি থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে এখন এক ভরি ভালো মানের স্বর্ণালঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের প্রায় ৮০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৭৬৯ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ মানের স্বর্ণালঙ্কার কিনতেও ক্রেতাদের ৫ শতাংশ ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে দাম পরিশোধ করতে হয়।