কারাগারে নারীসঙ্গ: কাশিমপুরের জেল সুপার ও জেলার বরখাস্ত

কারাগারে নারীসঙ্গ: কাশিমপুরের জেল সুপার ও জেলার বরখাস্ত
ঢাকা: কাশিমপুর কারাগারে বন্দী হল-মার্ক কর্মকর্তা তুষার আহমেদকে অবৈধভাবে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা বরখাস্ত করা হয়েছেন।এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে কারাগারের দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্তসহ জড়িত বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, জড়িত কারো কারো বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।কারা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কারাগারে থাকা হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে গত ৬ জানুয়ারি কারা কর্মকর্তাদের কক্ষেই নারীসঙ্গের ব্যবস্থার সংবাদ প্রচার হয়। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হলে তাৎক্ষণিকভাবে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রথমে জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ, ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ৪৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।সংশ্লিষ্টরা জানান, তদন্ত কমিটি ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা, চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে জেলা কারাগারে পদায়ন করা, কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন করাসহ ২৫টি সুপারিশ করা হয়েছে।কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন।দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারা কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। তাকে সেখানে অভ্যর্থনা জানান খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দী তুষার আহমদকে সেখানে আনা হয়

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন