সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল সোমবার সারাদেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজার জেলার উপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল সোমবার সকালে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিসের তথ্যে দেখা যায়, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, মাইজদীকোর্ট, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া ও সিলেট – এই ছয়টি অঞ্চল বাদে পুরো দেশের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো গতকাল সোমবার ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ঢাকায় গতকাল সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশে ব্যাপক আকারে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলেও গতকাল সোমবার সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এই ২৪ ঘণ্টার পরের ৩ দিনের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গত রোববার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এ মৌসুমে গত রোববারই প্রথম এত বেশি অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে তাপমাত্রা এত কম। গতকাল সোমবারও এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থেকে মঙ্গল ও বুধবার হয়তো তাপমাত্রা বাড়তে পারে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গতকাল সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর মাঘের শীত জেকে বসেছে। এবারের শীতে কয়েক দফা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে রের্কড করা হয়েছে। মাঘ মাসে শীতের এই দাপটে অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈতপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে জেকে বসেছে তীব্র শীত। গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার ভোর থেকে জেলার সর্বত্রই ছিল কুয়াশা আবৃত। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কিছুটা কমলে সূর্যের দেখা মেলে। তবে রোদের তাপ অনেকটাই কম রয়েছে। শীতের তীব্রতায় দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির লোকজন বিপাকে রয়েছে। সকাল থেকে কাজে বের হতে পারছে না। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের দিনমজুর আয়াছ বলেন, তিনি গতকাল সোমবার সকালে প্রচণ্ড শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারেনন। তিনি বলেন, আজ আর কাজে যেতে পারছি না। করাত শ্রমিক দিলীপসহ চার পাঁচ জনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কাজের একটা পরিকল্পনা থাকে, শীতের কারণে সব উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে। কাজে না গিয়ে বেকার ঘরে বসে আছি। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, এই কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন