এলাকাতেও রাজকীয় চলাফেলা ছিলো দিপুর

এলাকাতেও রাজকীয় চলাফেলা ছিলো দিপুর

দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, দক্ষিণ আইচা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা ও একটি মাদকের মামলা ছিলো। মাদক মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিলো। পরে জামিনে বের হয় সে। পরবর্তীতে ওই মামলা খারিজ হয়। অন্যদিকে যাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলো তাদের টাকা ফেরত দিয়ে মামলা থেকে রক্ষা পায় দিপু। তবে এলাকায় তাকে কোন পুলিশ প্রটোকল দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশরাফুল আলম দিপু এলাকায় প্রভাবশারীদের সঙ্গে চলাফেরা ছিলো। নিজস্ব ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে না-দামী ব্যক্তিদের সঙ্গে তোলা ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে সে। সে নিজেকে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দিতো। সে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পরিচয় ব্যবহার করে সিল ব্যবহার করতো।এছাড়াও করোনার সময় এলাকায় এসে বেশ কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে সে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া ওইসব মালামালের টাকা না দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বাবুরহাট বাজার এলাকায় একাধিক ব্যবসায়ী তার কাছে টাকা পেলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি দিপু।ভোলার পুলিশ সুপার সরকার কায়সার  জানান, চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টা জানতে পেরে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি, তার বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতারণা মামলা করতে চায় তাহলে তা গ্রহণ করতে।পুলিশ সুপার আরও বলেন, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে দিপু বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করতো, এমন খবর জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিলো। তদন্ত করে তাদের রিপোর্ট দিয়েছি, ওইসব রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন