নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সরকার টিকা দেয়ার কথা বলছে। এই টিকায় মানুষ বাঁচবে কী বাঁচবে না- তা নিশ্চিত নয়। আমরা আগেই বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগে নিন, কিন্তু তারা কেউ নেননি। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের এই টিকা বাংলাদেশে টেস্ট করার জন্য দেয়া হয়েছে। এই টিকা দেয়ার পর মানুষ বাঁচে না মারা যায় তা দেখার জন্য। এই টিকা শুরু করেছে একজন নার্সকে দিয়ে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই কাজটি করা হয়নি। আমেরিকায় টিকা নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রথম টিকা নিয়েছেন। এই কারণে এদেরকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে মানুষ। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর রায়সাবাজার মোড়ে ছাত্রদলের সহসভাপতি ওমর ফারুক কাউসারের উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান সরকারকে কারসাজি ও জালিয়াতি ও ধোঁকাবাজির সরকার আখ্যায়িত করে রিজভী বলেন, এই সরকার শীতার্ত মানুষের জন্য কিছুই করেনি। তারা ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ঘর থেকে বের হন না। মানুষের প্রতি দরদ থাকলে বের হয়ে দেখতেন মানুষ কত কষ্টে আছেন। মানুষ কীভাবে হাসপাতলে বেড পায় না, অক্সিজেন পায়না, ধুঁকতে ধুঁকতে মানুষ মারা যাচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে। এই সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না। হাজার হাজার মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। কোথায় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। তারা সাধারণ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত। রিজভী আরও বলেন, এই সরকার নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনি ভোট দিতে যাবেন, আপনার ভোটার আইডি কার্ড আছে কিন্তু আপনি গিয়ে দেখবেন আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। একটি ইভিএম মেশিন তৈরি করেছে ভোট চুরি করার জন্য। দিনের ভোট রাতে হয়, মানুষকে ভোট দিতে দেয় না, নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন তৈরি করে নিজেদের লোকদের বিজয়ী করছে। সরকার ইভিএম মেশিন দিয়েছে, যাতে এই মেশিন দিয়ে জালিয়াতি করা যায়। এটি জালিয়াতির মেশিন অর্থাৎ আপনি ধানের শীষে চাপ দিবেন, নৌকা চলে যাবে। নিশি রাতের এই সরকার কারসাজি, জালিয়াতি ও ধোঁকাবাজির সরকার।