ঢাকা: রাজধানীর যানজট নিরসনে সরকার যত উদ্যোগ নিয়েছে তার বিস্তারিত জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসন, সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার প্রতিবিধান, নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত, আরামদায়ক গণপরিবহন, বহুমাধ্যমভিত্তিক সুসমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত বিবেচনায় জনবান্ধব চেকসই সার্বিক যোগযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পিতভাবে গৃহীত ব্যবস্থাগুলো বিভিন্ন দপ্তরের কার্যপরিধির আওতায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।যেমন, ঢাকা মহানগরীর পশ্চিমাংশের সঙ্গে বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী কেরানীগঞ্জের যাতায়াত সহজ করার জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু (তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু) নির্মাণ। টঙ্গী রেলওয়ে জংশন ও টঙ্গী শিল্প এলাকার রেলপথ ক্রসিং স্থলে সৃষ্ট যানজট নিরসনের লক্ষ্যে টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা মহাসড়কের প্রথম কিলোমিটার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু নির্মাণ।বৃহত্তর সিলেট, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী যানবাহনের ঢাকা প্রবেশ ও নির্গমন সহজ করার লক্ষ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর সুলতানা কামাল সেতু (দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু) নির্মাণ।উভয়পাশের ধীরগতির যানবাহনের জন্য একস্তর নিচু দিয়ে সার্ভিস লেনসহ ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রা ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত ও পাচ্চর-ভাঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এটি দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে।দ্বিতীয় কাচপুর, মেঘনা গোমতী সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতুর পুনর্বাসন।