নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত ৫০ লাখ টিকার প্রথম চালান টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মার নিজস্ব ওয়্যারহাউজে এসে পৌঁছেছে। গতকাল সোমবার দুপুর একটায় পুলিশ প্রহরায় বেক্সিমকোর বিশেষায়িত ভ্যানে করে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টিকার এ চালান ওই ওয়্যারহাউজে নেওয়া হয়। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাব্বুর রেজা জানান, সোমবার সকাল ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারত থেকে করোনাভাইরাসের ওই টিকার প্রথম চালান এসে পৌঁছে। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষায়িত ভ্যানে করে টিকাগুলো পুলিশ প্রহরায় গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী চেরাগ আলী এলাকায় অবস্থিত বেক্সিমকো ফার্মার ওয়্যারহাউজের উদ্দেশে নেওয়া হয়। পরে দুপুর একটার দিকে টিকা বহনকারী ৯টি বিশেষায়িত ভ্যান থেকে টিকা ওয়্যারহাউজে রাখা হয়। টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় ১৫ মিলিয়ন (ভ্যাকসিন) ভায়াল ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট দুইটি ওয়্যারহাউজ রয়েছে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয়। বিশেষায়িত এ ওয়্যারহাউজে নির্ধারিত তাপমাত্রাসহ বিশেষ পরিবেশ মেনটেইন করা হচ্ছে। শুধু ওয়্যারহাউজে নয়, পরিবহনের সময় ভ্যানেও ওই পরিবেশ ও তাপমাত্রা বজায় রাখা হচ্ছে। এখানে ভ্যাকসিনের মান নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সকল ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের যে ল্যাবরেটরি আছে সেখানে রিলিজ সার্টিফিকেটের জন্য এ ভ্যাকসিনের কিছু স্যাম্পলসহ ডকুমেন্ট সাবমিট করা। আজ বা আগামীকাল আমরা এসব জমা দেব। ল্যাবে জমা দেওয়ার পর তারা তা রিলিজ করে দিলে ডিজি হেলথ অফিসের সরবরাহ করা তালিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক ভ্যাকসিন ৬৪ জেলায় আমাদের ফ্রিজার ভ্যানে করে পৌঁছে দেওয়া হবে।