বিভিন্নমুখী চাপের পরও তিনি নিজের মত বদলাননি। কিন্তু ক্যাপিটল হিলে তার সমর্থকদের হামলার পর তিনি বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হতে থাকেন। অভিসংশিতও হোন। ফলে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন। নিজ দলের সহকর্মীরাও তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। ট্রাম্প আজই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে যাওয়ার আগে চেয়েছিলেন জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিদায় নিতে। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। ঐতিহাসিক অপমান আর সমালোচনা সঙ্গে নিয়ে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তাকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হচ্ছে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিদায়ী বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমরা যা করতে এসেছিলাম তা করেছি। আমি কঠিন লড়াই, সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছিলাম। ’বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ রয়েছে। তাই তিনি হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বর্তমানে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হলো, আমাদের দেশের উদারতার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়া।সাধারণত বিদায়ী প্রেসিডেন্ট চলে যাওয়ার আগে নতুন প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান। ফার্স্ট লেডিকেও বিদায়ী ফার্স্ট লেডি আমন্ত্রণ জানিয়ে হোয়াইট হাউস ঘুরিয়ে দেখান। কিন্তু ট্রাম্প বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানাননি। এমনকি ভাষণে একবারের জন্যও বাইডেনের নাম নেননি।