দেশের সব জেলার ভোটার ১ ওয়ার্ডে

দেশের সব জেলার ভোটার ১ ওয়ার্ডে
চট্টগ্রাম: ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার। স্বাভাবিকভাবে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্র আর বুথও।স্থানীয় লোকজনের ধারণা, এ ওয়ার্ডে দেশের সব জেলার ভোটার আছেন। বেশি ভোটারের ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর প্রার্থী মাত্র দুইজন।  নগরের ইপিজেড থানাধীন ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৭৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬০ হাজার ৪৭১ জন, নারী ৬১ হাজার ১৬৭ জন। বুথ ৩০১টি। কেন্দ্র ৪১টি। এখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন (লাঠিম)। বিএনপির সরফরাজ কাদের (রেডিও)। সুমন সদ্য বিদায়ী কাউন্সিলর। কাদের এর আগে ২০১০ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন।  সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (সিইপিজেড) দেশি-বিদেশি কারখানাগুলোতে কর্মরত পৌনে দুই লাখ শ্রমিকের কারণেই এ ওয়ার্ডে ভোটার বেশি। তবে ভোটার বেশি হলেও কর্মস্থল পরিবর্তন, বাসা বদল, ছুটিতে থাকাসহ নানা কারণে ভাসমান ভোটারের সংখ্যাও বেশি। তাই স্থানীয় ভোটারদের ওপরই নির্ভর করছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের জয়-পরাজয়। তবে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী কৌশলের কারণে ফ্যাক্টর হতে পারে ভাসমান ভোটাররাও।ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকির হোসেন খোকন  বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক সংস্কার, যানজট নিরসন, অবকাঠামোর উন্নয়নসহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সুমন দৃশ্যমান কাজ করেছেন। যার ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ভোটাররা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।  বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সরফরাজ কাদের বলেন, আমার ওয়ার্ডে ৩০ ভাগ স্থানীয় ভোটার, বাকিরা বিভিন্ন জেলার। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ দেশের ৬৪ জেলার মানুষ এ ওয়ার্ডের ভোটার। তবে ভাসমান ভোটাররা একজায়গায় থাকেন না। তারপরও আমরা সবার কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। প্রতিটি বুথে আমার এজেন্ট ঠিক করে ফেলেছি।  নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বলছি নির্বাচিত হলে যেখানেই সমস্যা সেখানেই সমাধান করবো। এলাকায় মেয়েদের জন্য স্কুল নেই, স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। এগুলোকে প্রাধান্য দেব। সড়ক সংস্কার, নালা-নর্দমা পরিষ্কার, সড়কবাতি এসব রুটিন কাজকে গুরুত্ব দেব।  জিয়াউল হক সুমন বলেন, গত ৫ বছর এ ওয়ার্ডে যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোটাররা আমাকে মূল্যায়ন করবেন। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। সবচেয়ে বড় কথা আমার ওয়ার্ডের মানুষ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল দেখছেন, আউটার রিং রোড দেখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নযজ্ঞ দেখছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবেন না।  আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চসিক নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ৪১টি ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এদের মধ্যে নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন