নিজস্ব প্রতিবেদক : অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘পৌর নির্বাচনে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এটা কাঙ্খিত নয়। অতীতে আমাদের দেশে স্থানীয় নির্বাচনে এমন সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে। আমরা যদি ভারতের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবেÑ ২০১৮ সালের দেশটির পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই তুলনায় আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ গতকাল সোমবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাক ভোটার উপস্থিতি ছিল। কোথাও কোথাও ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে এসেছিল। সার্বিকভাবে ৬১ শতাংশের বেশি ভোটার ছিল। ইভিএম পদ্ধতিতেও ৫৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। বিএনপি পেয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ৪৬টি পৌরসভায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। চারজন বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তারমধ্যে আবার একজন বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন। এ ছাড়া জাসদ, জাতীয় পার্টির একজন করে নির্বাচিত হয়েছেন।‘ নির্বাচনের পর বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রথম দফার নির্বাচনে ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পরাজয়ের দুর্বলতা ঢাকতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের অনুরোধ জানাবো বাস্তবতা অনুধাবন করুন। সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করলে বিএনপি লাভবান হবে।’ বিএনপি-জামায়াত দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সেখানেও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছিÑ বিএনপি জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে এবং বাংলাদেশে আরও কিছু শক্তি ও গোষ্ঠী আছে, যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শেষ পর্যন্ত আমরা দেখলাম দোয়া মাহফিলকেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। এটি আসলেই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতেও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।