নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ?্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের কৃষিতে বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ‘বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের রপ্তানি ও বাণিজ্যের সুযোগ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স এ সম্মেলনের আয়োজন করে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও কার্যকর করার অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে মানসম্পন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন, অ?্যাগ্রো-প্রসেসিং, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, ভ্যালু চেইন ও রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে জার্মানির বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সুযোগ অনেক। বাংলাদেশে বর্তমানে মানসম্পন্ন আম, আনারস, লিচু, পেয়ারা, কলাসহ অন্যান্য ফলমূল এবং বিভিন্ন ধরনের তাজা শাক-সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। এসব পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জার্মানি কারিগরি সহায়তা, জনবল প্রশিক্ষণ, ল্যাব স্থাপন ও টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো, আধুনিক প্যাক হাউস এবং খাদ?্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে গ্যাপ (জিএপি) নীতিমালা অনুমোদন করেছে। এছাড়া, সর্বাধুনিক প্যাক হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ফলে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের রপ্তানি বহু গুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মেলনে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান কনস্ট্যাঞ্জা জেহরিঙ্গার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের জেন্স ওডিংসহ আরো অনেকে সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।