চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে যারা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন তারা আর দলে থাকতে পারবেন না। ভবিষ্যতে আর আর কোনো নির্বাচনে তারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। আহমদ হোসেন বলেন, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারা স্ব উদ্যোগে হয়েছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে হয়েছেন। আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত কঠিন। দলীয় সভানেত্রী বলে দিয়েছেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবে তারা ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচনে তারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এবং তারা আর পার্টিতে স্থান পাবেন না। যারা বিদ্রোহী পার্থীকে সাপোর্ট করবে তাদেরও আইডেন্টিফাই করবো। তার বিরুদ্ধেও আমরা অ্যাকশনে যাবো। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আমরা শুধু চট্টগ্রাম না, সারা দেশের জন্য একই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্রোহী প্রার্থী মানেই হলো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী। এরা সারাবছর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে, শেখ হাসিনার স্লোগান দেয় আর নির্বাচন আসলেই হয়ে যায় বিদ্রোহী প্রার্থী। তার মানে হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তার বিশ্বাস নেই, দলীয় নেতৃত্বের প্রতি তার আনুগত্য নেই। তিনি বলেন, সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনায় পুলিশ অ্যাকশনে গেছে। আসামি গ্রেফতার হয়েছে। রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর পেছনে কোনো দলীয় কোন্দল নেই। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আহমদ হোসেন বলেন, মানুষ আগের পৌর নির্বাচনগুলোতে ভোট দিয়েছেন। কোনো সমস্যা হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চলছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একটি ভালো নির্বাচন হবে। এর মাধ্যমে আমরা বলতে পারবো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ভালো নির্বাচন হয়। পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।