কারো মেয়ে হলেই উপহার হাতে ছুটে যান এসআই মোশারফ

কারো মেয়ে হলেই উপহার হাতে ছুটে যান এসআই মোশারফ
সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বাসায় তার সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রসূতি স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সাথীর সঙ্গে গল্প করছিলেন।হঠাৎ বিকেল ৪টার দিকে তাদের বাসায় হাজির হন টাঙ্গাইলের কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন। হাজির হয়েই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন উপহার সামগ্রী।এভাবেই কাগমারিতে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তান হওয়ার খবর পেলেই তার বাবা-মায়ের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ডায়াপার, লোশন এবং ক্রেস্ট।এর আগে মোশারফ হোসেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, কন্যা সন্তান বোঝা নয় আশির্বাদ, কন্যা সন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। কন্যা সন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সঙ্গে সঙ্গেই।বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মোশারফ হোসেনের রুমে গিয়ে দেখা যায়, টেবিলে অনেকগুলো ক্রেস্ট এবং প্যাকেট রাখা।এসব কী জানতে চাইলে মোশারফ হোসেন জানান, এগুলো কন্যা সন্তানদের উপহার সামগ্রী।এমন উপহার পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত সুমাইয়া আক্তার সাথী এবং স্বামী সাইফুর রহমান ফারুক  জানান, কন্যা সন্তান জন্ম হলেই পাবেন পুরস্কার- ফেসবুকে পুলিশ কর্মকর্তার এমন স্ট্যাটার্স দেখে তারা ইনচার্জ মোশারফ হোসেনকে নিজেদের মেয়ে জন্মের কথা জানান। পরে বিকেলে হঠাৎ করেই বাসায় এসে উপহার সামগ্রী দিয়ে যান তিনি। এমন উপহার পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, আমি গ্রামের সন্তান। গ্রামে দেখেছি, কন্যা সন্তান জন্ম নিলে অনেকে মন খারাপ করেন। এমনটা যাতে কেউ না করেন, সেজন্য মেয়ের বাবা-মাকে উৎসাহ দিতে এবং ছেলে-মেয়ে সবাই সমান-এটা বোঝাতে আমি এমন উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যে মেয়েরা শিক্ষায় এবং কর্মজীবনে এখন অনেক এগিয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে নারীরা আছে। তাই মেয়ে কোনো বোঝা নয়। সঠিকভাবে বড় করতে পারলে ছেলে-মেয়ে সবাই মানবসম্পদ হবে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন