প্রকল্পের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অন্যতম মাইলকফলক। বিশ্বব্যাংক টিকা কেনা প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার দিয়েছে, এটা ইতিবাচক। টিকা কেনা প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়ছে। টিকা কেনা প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে মেঘলা দিন কেটে যাচ্ছে, আমরা আলোর মুখ দেখছি। দেশের অর্থনীতি সচল হবে। আমরা বিশ্বাস করি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের দেশের অর্থনীতি আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন হবে করোনা ভীতি কেটে যাবে। ’তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমোদিত নীতিমালা সর্বসাধারণের বোধগম্যভাবে সারসংক্ষেপ আকারে প্রণয়ন এবং ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার একটি সহজবোধ্য ফ্লো-চার্ট ডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিটা উপজেলায় ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে প্রচারের জন্য ব্যানার, মাইকিং ও প্রকাশনা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য একটি করে মোট দুটি মোবাইল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ভ্যানের সংস্থান রাখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্বৈততা পরিহারপূর্বক গঠিত ১০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং ১০টি জেলায় মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যাবস্থপনা প্ল্যান্ট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের জরুরি ঋণ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল প্রকল্পটির অনুমোদন হয়েছিল। সেই সময় প্রকল্পটি খুব জরুরি বিবেচনায় দ্রুত অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু ক্রমশ বাড়তে থাকায় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের লেন্ডিং করতে সম্মত হয়েছে, যা এ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে। তাছাড়া প্রকল্প সংশোধনের প্রধান কারণ হিসেবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয় বাবদ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করণ করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ এবং বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ঋণ ৬ হাজার ৬১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা।