সেন্টমার্টিন ভ্রমণে ১৪ নির্দেশনা

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে ১৪ নির্দেশনা
এতে বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষরণ আইন-১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা-৪ এর ক্ষমতাবলে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যানসহ সব ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো; দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র ও নাফ নদীতে প্লাস্টিকসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা, পশ্চিম পাশের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পাশে সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে পরিভ্রমণ নিষিদ্ধ করা। এছাড়াও দ্বীপের চতুর্থ পাশে নৌভ্রমণ; জোয়ার ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর হাঁটা; সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা; রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্লাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা; সৈকতে রাতের বেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুশ উড়ানো; সৈকতে মাইক বাজানো; সৈকতে মাইক বাজানো, হৈচৈ, উচ্চস্বরে গানবাজনা করা, বারবিকিউ পার্টি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ, ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে স্পিট বোট, কান্ট্রিবোট, ট্রলার বা অন্যান্য জনযানে যাতায়াত এবং নোঙর করাও। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।একইসঙ্গে জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্যান্য খাবার, দ্বীপে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানি সীমিত থাকায় পানির অপচয় না করা এবং সেন্টমার্টিনের দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণও নিষিদ্ধ করে এসব বিষয়ে পর্যটককদের সহযোগিতা কামনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপরেও কোনো ব্যক্তি এসব নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

ঈদগাঁওতে পুকুরে ডুবে কিশোরের মৃত্যু

টাঙ্গাইলে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন সম্প্রদায়দের সাথে বিএনপি’র মতবিনিময়