তিনি বলেন, দুই বেলা ভাত খাওয়ার টাকা নাই তার মধ্যে লুঙ্গি কিনমু কেমনে? আমার পরার মতো লুঙ্গি নাই। পুরান যে লুঙ্গি আছে তাও সব জায়গা দিয়ে ছেড়া। তাই ঘরে বৌয়ের ওড়না পড়ে থাকি। আমরা যে ঘরে থাকি সে বাসা মুন্সিবাড়ির জব্বার দারোগার। বাসায় ১০০ টাকার বিনিময়ে থাকি। তিনি অনেক ভালো মানুষ তাই আমাদের কষ্ট দেখে এখানে থাকতে দিয়েছেন। ঘরে কোনো বিদ্যুৎ নাই। বৃষ্টির দিনেও পানি পড়ে।সুলতান যোগ করে বলেন, দুটি ছেলে আছে আমার। ওরা ঢাকায় রিকশা চালায়। তবে যতটুকু জানি, রিকশা চালিয়ে ওরা নিজেদেরই পরিবারই ঠিকমতো চালাতে পারে না, আমাদের দেখবে কি!তার স্ত্রী সকিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ভিক্ষা করে খাই। বয়সের সময় স্বামী বড় গাড়ি চালাইছে। তখন সুখের দিন ছিলো। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন আর কোনো কাজ করতে পারেন না। আমি ভিক্ষা করে যা পাই তা দিয়ে ওষুধ কিনতে চলে যায়। সরকারি কোনো সহায়তা পাই না। বয়স্ক ভাতার জন্য মেম্বার (পটুয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন) অনেক আগে নাম নিয়েছে। কিন্তু এখনও বয়স্ক ভাতার কোনো খবর নেই। বর্তমানে কেমন কাটছে দিন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানুষের বাসা থেকে পানি ভাত ভিক্ষা করে এনে সেই ভাত শুকাই। শুকানোর পর ভাত যখন চাল হয় তখন সেই চাল আবার রান্না করে আমরা খাই। মানুষের বাসার একদিনের তরকারি না ফালাইয়া আমাদের দেয় আমরা তা জ্বাল দিয়ে লাল হলে সেটা খাই। ’এমন খাবার কেন খান প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাবা চাল ও তরকারি কেনার টাকা নাই। ভিক্ষা করে যে টাকা পাই তা দিয়ে কেরসিন, বুড়া-বুড়ির ওষুধ আর ঘর ভাড়ার পিছনে চলে যায়। সরকার থেকে আমাদের যদি একটু ভাতার ব্যবস্থা করতো। জীবনের শেষ সময়টা যদি একটু ভালোভাবে খেতে পারতাম, চলতে পারতাম। ’এ বিষয়ে কথা বলতে পটুয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।