নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপিতে এখন চতুর্মুখী সংকট চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলটি বার বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও আন্দোলন করতে পারেনি। একদিকে তারা অপরাজনীতির জন্য জনগণের কাছে নিন্দিত, অপরদিকে দলের ভেতরেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ সংকট চলছে। অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে তারা। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে দলটি এখন নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমেছে। গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন তারা (বিএনপি) অপপ্রচার শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। নানা অনিয়ম অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিএনপি মূলত নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চায়। তাদের এই অপচেষ্টাও হালে পানি পাবে না। কেননা জনগণ তাদেরকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। উপনির্বাচনে প্রচারণা না চালিয়ে, পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, ভোট কেন্দ্রে না এসে ভোটের দিন হঠাৎ করে দুপুর বেলায় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা তাদের অপকৌশলের অংশ। নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার এই অপকৌশল এরইমধ্যে মরচে ধরে গেছে, ভোঁতা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা কথা বলে অথচ কমিশনে তাদের প্রস্তাবিত একজন সদস্য রয়েছে। কমিশনের সব সদস্য বিএনপি-সমর্থকদের বসেই বা লাভ কি? প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে সব কমিশনার যদি বিএনপির হয়, কমিশন তো ভোট দেবে না, ভোট দেবে জনগণ। তারাতো ভোটারদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, তাই জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে শুরু করে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে। সংকটের কারণে বিএনপির দেশ ও জনগণের কথা ভাববার সময় নেই বলেও এ সময় মতামত ব্যক্ত করেন কাদের। বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ এখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া। আপনারা দেখতে না পেলেও জনগণ দেখতে পাচ্ছে। আপনারাতো দিনের আলোতেও রাতের অন্ধকার দেখতে পান। দেশে কোন দুঃশাসন নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশাসনের দিকে আমাদের যে অভিযাত্রা তাতে সমালোচনা না করে সহযোগী হোন। গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথকে মসৃন করতে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুন। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ঘরে বসে ফেসবুক গণমাধ্যম বিবৃতি ছাড়া জনগণের ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কথা শুধু ভুলেই যায়নি, সক্ষমতাও হারিয়েছে। তিনি বলেন, বিজয়ের চেতনা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জাঁতি আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বিজয়ের এ মাসে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আসুন আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করি, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি।