একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভুয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বাড়ানোর জন্য কেন সুপারিশ করা হবে না, সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও রেজিস্টার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে আবেদনকারী আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন বলেন, ‘মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয় দেশের সাধারণ মানুষ এসব ভুয়া ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি শারীরিকভাবে স্থায়ী অক্ষমতাসহ অনেকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে’।
জে আর খাঁন রবিন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ধারা ২৮(৩) অনুযায়ী যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নিবন্ধনকৃত একজন মেডিক্যাল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলে প্রতারণা করেন অথবা প্রতারণামূলকভাবে তার নাম বা পদবীর সঙ্গে নিবন্ধনকৃত মর্মে কোনো শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন তার মিথ্যা পরিচয় দ্বারা কোনো ব্যক্তি প্রতারিত না হলেও তার জন্য তিনি ৩ বছর কারাদণ্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। একজন ভুয়া ডাক্তারের চিকিৎসার কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সাজা অত্যন্ত নগণ্য। এ কারণে দেশে ভুয়া ডাক্তারদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবাও দিনে দিনে হুমকির মুখে পড়ছে।