তিনি বলেন, তাদের করা এ অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এগুলোর কোনোটারই ভিত্তি নেইা।
কী উদ্দেশ্যে বিশিষ্টজনরা এমন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কী উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছেন সেটা তারাই বলতে পারবেন। যে অভিযোগগুলো বিশিষ্টজনরা তুলেছেন সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটা তার ব্যাপার।
কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশিষ্টজনরা যে এ ধরনের কথা বলছেন, দু-একটা পত্রিকা বা টেলিভিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই তারা এ ধরনের একটা অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টা যে পত্রিকা ছাপিয়েছিল, সেখানে আমরা রিজয়েন্ডার দিয়েছিলাম।
আমরা জানি না, সেটা তাদের নজরে এসেছে কি না। দ্বিতীয়ত, গাড়ির যে ব্যবহারের বিষয়, আমার মনে হয় না আমাদের সেই প্রয়োজন আছে। কারণ, আমাদের প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি সেটাই আমরা শপথ নেওয়ার তিন বছর পর পেয়েছি। যে গাড়িগুলো তারা অত্যন্ত বিলাসবহুল হিসেবে বলেছেন, আমরা জানি না বিলাসবহুল ছাড়া অন্য গাড়ি কোনগুলো। আমি তো দেখেছি, সেগুলো ইউএনওরাও ব্যবহার করছেন। বাড়তি গাড়ি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা আমার নাই, আমার বিশ্বাস অন্যদেরও নাই। সবচেয়ে পীড়াদায়ক হলো বিশিষ্টজনরা তাদের অভিযুক্তও করে ফেলেছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, একই সাথে রাষ্ট্রপতির কাছে তারা অভিযোগ করলেন, আবার আমাদেরও অভিযুক্ত করে ফেললেন। শুধু সেটা না, আমাদের কী করণীয় বা আমাদের কী দণ্ড সেটাও এক অর্থে দিয়ে দিলেন। সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত বা শিষ্টাচার বর্জিত কি না, সেটা বিবেচনার ভার আপনাদের।
মানহানির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন কি না, জানাতে রাজি হননি কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট চেষ্টা করছে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু করণীয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান এই কমিশনার। নির্বাচন কমিশন প্রশ্নের সম্মুখীন হলো কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি মনে করি না। জাতির কাছে আপনাদের মাধ্যমে আমি তুলে ধরেছি যে, সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত।