কক্সবাজার: কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে এবার যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের ‘সি ট্যুরিজমের’ অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ক্রুজশিপ বা বিলাসবহুল জাহাজ ‘এমভি বে-ওয়ান’। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধায় সমৃদ্ধ এই প্রমোদতরী চলবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রা করতে যাচ্ছে বিলাসবহুল দ্রুতগামী এই ক্রুজশিপ। মাত্র তিনঘণ্টায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে দ্রুতগামী এই শিপ।রোববার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় জাহাজটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জাহাজটির যাত্রা উদ্বোধন করবেন।এই শিপে রয়েছে বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট, প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে রাত্রীযাপনের সু-ব্যবস্থাও। দেশের খ্যাতনামা জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের অর্থায়নে আমদানি করা হয় জাহাজটি। কক্সবাজারস্থ বে-ওয়ান ক্রুজ শিপের সমন্বয়ক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সমুদ্রগামী তারকামানের জাহাজ ‘বে ওয়ান’-এর ধারণক্ষমতা প্রায় দুই হাজার জন। ১২১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৩ মিটার ড্রাফটের জাহাজটি সর্বোচ্চ ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে। জাপানের কোবেই শহরের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজে নির্মিত জাহাজটি। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে গত বছর কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে আরেকটি ক্রুজ শিপ চালু করা হলেও সেটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৫০০ জনের। আর ‘বে ওয়ান’-এর ধারণক্ষমতা দুই হাজার জনের। বাংলাদেশে এটি এখন সর্ববৃহৎ ক্রুজ শিপ। কেবল অভ্যন্তরীণ রুটে নয়, আইএমওর রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত এ জাহাজ আন্তর্জাতিক রুটেও পরিচালনার সুযোগ রয়েছে।এটি প্রতিদিন সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে যাত্রী পরিবহন করে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করবে। কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল- ৮টায়, সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে- বেলা ১১টায়। আর সেন্টমার্টিন থেকে ছাড়বে বিকেল ৪টায়, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টায়। ভাড়ার তালিকা: ইকোনমি- ২৫০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ৩০০ +। বিজনেস ক্লাস- ৩০০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ২০০+। ওপেন ডেক- ৪০০০ টাকা, আসন সংখ্যা-১০০+। ভি আই পি কেবিন- ২৫,০০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ৪ টা। ভি ভি আই পি কেবিন- ৩০,০০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ২৮টা।
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,