এই অবস্থায় বিয়ে বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। আরতির পরিবার অবধেশের মতো ভালো পাত্র হাতছাড়া করতে চান না। তারাই অবধেশকে প্রস্তাব দেন আরতির বোনকে বিয়ে করার।
কনে পরিবারের এই অনুরোধে কান দেননি অবধেশ। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আরতিকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবেন না তিনি। দরকার পড়লে হাসপাতালে বিয়ে করবেন আরতিকে। তার সেবা করেই কাটিয়ে দেবে বাকি জীবন, তবু আরতিকে একা রেখে যাবেন না। অবধেশের কথা, যেকোনো সময়, আমাদের যে কারো জীবনেই এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য প্রিয়জনকে ছেড়ে অন্য কাউকে জীবনসঙ্গী করার প্রশ্নই ওঠে না।
অবধেশের ইচ্ছা এই দিনেই আগের নির্ধারিত সময়েরই বিয়ে করার। চিকিৎসকদের এটা জানানো হলে, তারাও অবধেশের অসাধারণ সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে সাহায্য করেন। ব্যবস্থা করে দেন ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য আরতিকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সার্পোট দিয়ে বাড়িতে পাঠান। সেখানে লগ্ন মেনে তাদের বিয়ে হয়। অবধেশের সঙ্গেই আরতি আবার ফিরে আসেন হাসপাতালে। এরপর থেকে জীবনসঙ্গী নতুন বউয়ের সেবা করেই সময় যাচ্ছে অবধেশের।