৮৭/৮৮ সালের পর কুমিল্লার রাজনীতির সাথে আমার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। এই দীর্ঘ সময়ে বাহাউদ্দিন বাহারের সাথে একবারই দেখা হয়ে, তাও কাকতালীয়ভাবে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ম্যাকডোনাল্ডসের খাবার সংগ্রহের লাইনে। সাংবাদিকতা শুরুর পর সব দলই আমার কাছে সমান, ব্যক্তি তো বটেই। বরাবরই আমি অনুরাগ-বিরাগের উর্ধ্বে ওঠে সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করি। যত আবেগ থাকুক, হাতে যখন কলম, তখন কুমিল্লা আমার কাছে আর দশটা শহরের মতই, বাহাউদ্দিন বাহারও আরো অনেক এমপির মতই একজন। কোনো অনুরাগ বা বিরাগ নেই। তিন দশকের সাংবাদিকতা জীবনে একবার পূবালী চত্বর নিয়ে লেখা আর কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ ছাড়া কখনো কুমিল্লা নিয়ে আলাদা কিছু লেখা হয়নি। বাহাউদ্দিন বাহারও কখনোই আমার লেখার বিষয় হয়ে ওঠেননি। তবে কুমিল্লা টাউন হল ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে শোনার পর আরো অনেকের মত আমিও নির্লিপ্ত থাকতে পারিনি। ব্যক্তিগত স্মৃতি আছে বলেই নয়, টাউন হল আসলে অনেক স্মৃতি আর ইতিহাসের ধারক। তাই আমি লিখেছিলাম ‘টাউন হল ছাড়া কুমিল্লা, কুমিল্লাই নয়’। দেশের বিশিষ্ট ৫০ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে ওঠা জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কুমিল্লা টাউল হল ভবনটি না ভেঙ্গে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের ঘোষণা দেয়। তারপর থেকেই টাউন হলের পক্ষে বিবৃতি দেয়া বুদ্ধিজীবীদের হেয় করা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা, টাউন হল কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়। বাহাউদ্দিন বাহারকে ধন্যবাদ তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টাউন হল ভাঙ্গার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকা ও কুমিল্লায় কুমিল্লার বিশিষ্ট ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। টাউন হল কেন ভেঙ্গে ফেলা জরুরি তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন। বলা হচ্ছে, কুমিল্লা টাউন হল ভাঙ্গা হবে নাকি পূরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে; সে সিদ্ধান্ত নেবে কুমিল্লার জনগণ। কুমিল্লার বাইরের বুদ্ধিজীবী বা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই। এটা খুবই হাস্যকর যুক্তি। কুমিল্লা কোনো স্বাধীন দেশ নয়, কুমিল্লা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ এব্ং ঐতিহাসিক জেলা শহর। তারচেয়ে বড় কথা হলো, টাউন হল নামে পরিচিত বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তনটি শুধু কুমিল্লার নয়, এটি বাংলাদেশের সম্পদ। সারা বাংলাদেশের বিবেকবান মানুষ এই টাইন হল রক্ষায় সোচ্চার হতে পারেন। আমি কখনো যশোর যাইনি, যশোর রোডও দেখিনি। কিন্তু কয়েকবছর আগে যখন যশোর রোড সম্প্রসারণ করতে এর দ্ইু পাশের শতবর্ষী গাছ কাটার উদ্যোগ নেয়া হয়, তখনও কিন্তু আরো অনেকের মত আমিও কলম ধরেছিলাম। সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে রক্ষা পেয়েছিল যশোর রোডের গাছের সারি। টাউন হলটি কুমিল্লায় না হয়ে দিনাজপুরে হলেও আমি বা বিবেকবান মানুষ এটি রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। আজ যদি কেউ অশ্বিনীকুমার টাউন হল ভাঙ্গার চেষ্টা করেন, শুধু কি বরিশালের মানুষ প্রতিবাদ করবেন? তেমনি কুমিল্লা টাউন হল রক্ষা করাও সবার দায়িত্ব। সরকার টাউন হলটি ভাঙ্গতে চাইলে কুমিল্লার মানুষ সেটি রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটছে উল্টো ঘটনা।
কুমিল্লা টাউন হলের বয়স ১৩৫ বছর। এটা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। কুমিল্লার বিভিন্ন ইতিহাসগ্রন্থে এর উল্লেখ আছে। ১৩৫ বছর আগে এমন স্থাপত্য শৈলীর একটি টাউন হল যে শহরে থাকে, সেটি যে গৌরবের ধারক তা আর আলাদা করে বলতে হয় না। কান্দিরপাড়ে দাড়িয়ে টাউন হলের দিকে তাকালেই যে কেউ বুঝতে পারবেন কুমিল্লা কতটা প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাহাউদ্দিন বাহার বলছেন, কুমিল্লায় অনেক উন্নয়ন হলেও টাউন হলের দিকে তাকালে নাকি মনে হয় কোনো উন্নয়নই হয়নি। তিনি বলছেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ পুরোনো টাউন হল দিয়ে চলবে না। এই ভাবনাটি যে কত বড় ভুল, সেটি আমার ধারণা তিনি নিজেও বোঝেন। হয়তো কোনো কারণে বুঝেও বুঝতে চাইছেন না। তার উন্নয়নের মাপকাঠি যদি নতুন ভবন হয়, তাহলে তো আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা, কার্জন হল কিছুই রাখার দরকার নেই। সামনে এগিয়ে যেতে হলে অতীত গৌরবকে সাথে করেই যেতে হয়।
সারাবিশ্বে প্রত্নতাত্ত্বিকরা যখন মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে ইতিহাস তুলে আনছেন, পুরাকীর্তি সংরক্ষণ করছেন, তখন আমরা বহাল তবিয়তে থাকা একটি অনন্য সুন্দর স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলতে চাইছি, এ বড় বেদনাদায়ক। টাউন হলটি ভাঙ্গা নয়, সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী রাখা অসম্ভব নয়। যারা কুমিল্লায় যান তাদের অনেক দ্রষ্টব্যের মধ্যে শালবন বিহার যেমন আছে, থাকে টাউন হলও। পুরোনো ভবন বা স্থাপনা যদি উন্নয়নের বাধা হয় তাহলে তো শালবন বিহার গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার দাবি উঠতে পারে।
আগেই বলেছি, ৮৭/৮৮ সালের পর বাহাউদ্দিন বাহারের সাথে আমার একবারই দেখা হয়েছিল কুয়ালালামপুর। বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতা এবং আমার যৌবনের হিরো আমার মতই ম্যাকডোনাল্ডসের লাইনে দাড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করছেন, বিষয়টি আমাকে দারুণ ভালো লাগার অনুভূতি দিয়েছিল। সে সফরে আমি মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক শহর মালাক্কা দেখতে গিয়েছিলাম। বাহাউদ্দিন বাহার গিয়েছিলেন কিনা জানি না। গেলে দেখতেন, একটা-দুইটা ভবন নয়, মালয়েশিলার সরকার আস্ত একটি শহর সংরক্ষণ করছে। মালাক্কায় ঢুকলেই মনে হবে, আপনি ছয়শো বছর আগের কোনো শহরে দাড়িয়ে আছেন। মালয়েশিয়ায় মালাক্কা যেমন আছে আবার একদম নতুন করে সাংবিধানিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা আধুনিক শহর পুত্রজায়াও আছে। এভাবেই ঐতিহ্যকে সাথে নিয়েই চলে উন্নয়নযাত্রা। অতীত ভুলে কখনো সামনে এগোনো যায় না।
গত ৩৫ ব্ছরে একবার দেখা হওয়া ছাড়া বাহাউদ্দিন বাহারের সাথে আমার আর কোনো যোগাযোগ নেই। তার রাজনীতিও ফলো করিনি। তবে অনেকে বলছেন, আপনার অমিতাভ বচ্চন এখন অমরেশপুরী হয়ে গেছেন, তিনি এথন নায়ক নন, খলনায়ক। বিভিন্ন সময়ে অন্তত পাঁচটি রাজনৈতিক হত্যার সাথে তার বা তার প্রশয়ে থাকা কর্মীদের নাম এসেছে। এক হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ তাকে বহিস্কারও করেছিল। অনেকে বলছেন, এমপি হওয়ার আগের বাহার আর পরের বাহার এক নন। ক্ষমতা তাকে বদলে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখন কুমিল্লায় সন্ত্রাস আর দখলদারিত্ব কায়েমের বিস্তর অভিযোগ। কদিন আগে তার দলেরই আরেক এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংবাদ সম্মেলন করে বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছেন। রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, টেন্ডার, সবকিছুতেই তার একক দখলদারিত্ব। হিন্দু সম্পত্তি কৈলাশ ভবন দখল করে মেয়ের নামে সোনালী স্কয়ার বানানো, মহানগর আওয়ামী লীগের অফিসে নিজের মেয়ের নামে আবাসিক হোটেল করা, বিএনপি থেকে নির্বাচিত সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যানের সাথে আঁতাত, সুপারিশ করে য্বুদল নেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া ইত্যাদি নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আর অভিযোগ তুলেছেন তার দলেরই এমপি। তবে কুমিল্লার রাজনীতির ইতিহাস যারা জানেন, তারা আফজাল-বাহার দ্বন্দ্বের কথাও জানেন। তাই আমি বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বিশ্বাস করিনি। আমি ধরে নিচ্ছি, এসবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতির মাঠে আপনার অনেক বন্ধু যেমন থাকবে, অনেক শত্রুও থাকবে। আর টানা এক যুগ এমপি থাকায়, বাহাউদ্দিন বাহারের শত্রুর সংখ্যাও নিশ্চয়ই বেড়েছে। আপনি যতই জনপ্রিয় হোন, কখনোই একশোভাগ মানুষের সমর্থন পাবেন না। ৭০ সালের নির্বাচনেও ২৭ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। তাই বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আমি অবিশ্বাসই করতে চাই। তবে এও চাই ক্ষমতার দাপটে, গায়ের জোরে টাউন হল ভাঙ্গার মত ঐতিহ্যবিধ্বংসী সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী টাউন হলকে পূরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের ঘোষণা দেয়ার পর পাল্টা জনমত তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি এটি ঠেকানোর চেষ্টাও হচ্ছে। সম্প্রতি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কুমিল্লায় গেলেও স্থানীয় সাংসদের চাপে তারা টাউন হলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গণশুনানীর উদ্যোগ নেন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকালে এ গণশুনানী হবে। গণশুনানীতে কী হবে, তা আমি এখনই বলে দিতে পারি। টানা তিনবারের সরকার দলীয় সাংসদ চাইলেই বিপুল সমাগম ঘটাতে পারবেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত সবাই সর্বসম্মদভাবে টাউন হল ভাঙ্গার পক্ষে রায় দেবেন। কিন্তু টাউন হল ভাঙ্গা হবে কি হবে না, তা নিয়ে গণশুনানীর বিষয়টা যে কতটা হাস্যকর, তা বুঝতে পন্ডিত হতে হয় না। এটা সেই ‘আমি জানি না’র মত হয়ে যাবে। বাহাউদ্দিন বাহার যা চাইবেন, গণশুনানীতে মানুষ তাই বলবে। কিন্তু কুমিল্লার ৯৯ ভাগ লোক চাইলেও কি টাউন হল ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে, না নেয়া সঙ্গত হবে? ঐহিত্য রক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রজ্ঞা দিয়ে, বিবেচনা দিয়ে; সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নয়। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ন্যায্য কথা যদি একজনও বলে, তা মানতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ন্যায্যতার বিবেচনায়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নয়। আর কুমিল্লার এক ভাগ মানুষও যদি টাউন হল রাখার পক্ষে থাকেন, তাদের কারো কি সেটা গণশুনানীতে গিয়ে বলার সুযোগ আছে? সবাই জানে, কুমিল্লায় বাহাউদ্দিন বাহারের ইচ্ছাই আইন। তার বাইরে গিয়ে কিছু বলা বা করার সাহস বা সুযোগ কোনোটাই কুমিল্লায় নেই।
অনেকেই বলছেন, কুমিল্লার বর্তমান টাউন হল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী। কিন্তু কুমিল্লার মত শহরের একটি আধুনিক টাউন হলও দরকার। কিন্তু শহরের প্রাণকেন্দ্রে টাউন হল করার মত কোনো জ্য়াগাও নেই। তাই টাউন হল ভাঙ্গারও কোনো বিকল্প নেই। তবে আমি তিনটি বিকল্প প্রস্তাব করছি- শিল্পকলা একাডেমি কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এটি পুরোনো হলেও ঐহিত্যবাহী নয়। এখানে জায়গাও আছে। তাই এখানে একটি বহুতল আধুনিক টাউন হল গড়া যেতে পারে। দ্বিতীয় প্রস্তাবনা হলো, কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রেই একটি স্টেশন ক্লাব আছে। যেখানে একটি দোতলা ভবন আছে আর আছে অনেকটুকু জায়গা। চাইলে এখানেই একটি আধুনিক টাউন হল বানানো সম্ভব। তবে তৃতীয় প্রস্তাবটিই আমার মুল প্রস্তাব। টাউন হলের জায়গা লিজ নিয়ে বাহাউদ্দিন বাহার একটি মার্কেট গড়ে তুলেছেন। টাউন হলের সামনের হকারদের পুনর্বাসনের জন্য এই টাউন হল সুপার মার্কেট গড়ে তোলা হলেও এটি ‘বাহার মার্কেট’ নামেই পরিচিত। লিজ নিয়ে টাউন হলের জায়গায় বানানো এই মার্কেটের দোকানের পজেশন বাহাউদ্দিন বাহার বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। চাইলে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ভবনটি না ভেঙ্গে এই মার্কেটটি ভেঙ্গে সেখানে একটি বহুতল আধুনিক টাউন হল গড়ে তোলা সম্ভব। আর প্রস্তাবিত বহুতল ভবনে চাইলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনও সম্ভব। তাতে কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে নিজের জমিতেই গড়ে উঠতে পারে নতুন আধুনিক টাউন হল। পাশাপাশি থাকবে ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী স্থাপনাটিও। প্রয়োজনে দীপিকা সিনেমা হলের জায়হার লিজ বাতিল করে, সেটিও টাউন হল প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে। সেই প্রকল্পে টাউন হলের বর্তমান ভবনটি মেরামত করে সংরক্ষণ করা সম্ভব। পুরোনো টাউন হলের পাশে আধুনিক টাউন হল- একই সঙ্গে ঐতিহ্য আর উন্নয়নের স্মারক হয়ে থাকবে।
নিন্দুকদের সব কথা আমি শুনি না, বিশ্বাসও করি না। আমি চাই টাউন হলের বিষয়টি বাহাউদ্দিন বাহার নতুন করে ভাববেন। বুঝবেন টাউন হল কোনো সাধারণ অডিটরিয়াম নয়। আমার প্রত্যাশা সত্যিকারের অভিভাবক হিসেবে তিনি ঐতিহ্য রক্ষা করেই কুমিল্লাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেবেন। আমি চাই কুমিল্লা টাউন হল রক্ষার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেবেন। তার জন্য আগাম ধন্যবাদ বরাদ্দ রইলো। মানুষ যেন আধুনিক কুমিল্লার রূপকার হিসেবেই বাহাউদ্দিন বাহারকে মনে রাখে। অমরেশপুরী হিসেবে নয়, আমার যৌবনের নেতা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার আমার স্মৃতিতে অমিতাভ বচ্চনের মত প্রতিবাদী হয়েই থাকুন।