গ্রেফতাররা হলেন- রুবেল মিয়া (২১), আব্দুল কালা মিয়া (২২), মাহাবুবা হাজার মেরিনা (২২) ও মিঠি বেগম (২৩)।
ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি গেঞ্জি, একটি কাপ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর এনজিওকর্মী শান্তা আক্তার (৩১) নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়া এলাকা থেকে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করে শহরের বাজিড় মোড়ের অফিসে ফিরছিলেন। এসময় গ্রেফতার আসামি রুবেল মিয়া ও আব্দুল বাদশা মিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন পশ্চিম কান্দাপাড়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনে ওৎ ছিলেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ভিকটিম এনজিওকর্মীর রিকশার গতিরোধ করে তার টাকাভর্তি ভ্যানিটি ব্যাগ রুবেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন এনজিওকর্মী তার টাকার ব্যাগটি ধরে রাখতে চাইলে তার সহযোগী বাদশা তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে এনজিওকর্মীর বাম হাতের কব্জিতে সজোরে কোপ দিলে তার কব্জি কেটে যায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারীকে ফেলে রেখে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে কৌশলে পালিয়ে নরসিংদী সদর থানাধীন ব্রাক্ষণপাড়ায় রুবেলের শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপন করেন। বাসায় এনজিওকর্মীর ভ্যানিটি ব্যাগটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ছিনতাইয়ের দৃশ্য রেকর্ড হয়। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সেটা প্রচার হলে দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় আশা’র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইসমাইল শিকদার বাদী হয়ে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর থানায় একটি দস্যুতা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রুবেল মিয়া ও আব্দুল বাদশা মিয়া এনজিওকর্মীর হাতের কব্জি কাটা ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী এবং বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এদের মধ্যে রুবেলের নামে চারটি, বাদশার নামে আটটি এবং মিঠি বেগমের নামে দু’টি মামলা চলমান।