জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসেন কাসেমীর মৃত্যুর পর নতুন মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে ফের সংকট সৃষ্টি হয়েছে আলোচিত এ সংগঠনে। আল্লামা কাসেমীর মৃত্যুর দিন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের অনুসারীরা। তারা মাওলানা মামুনুলের পক্ষে পোস্ট করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। যদিও ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য নিয়ে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন মামুনুল হক। এর জের ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামুনুল হকসহ কওমি মতাদর্শীদের ওয়াজ মাহফিল প্রতিহতও করেছেন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান নেতৃত্বের একটি অংশ মামুনুল হকের মতো আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেওয়া কাউকে মূল নেতৃত্বে আনতে চান না। তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এমন কাউকে নেতৃত্বে আনতে চাইছেন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এ ক্ষেত্রে মহাসচিব হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, বেফাক মহাসচিব ও নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব এবং মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
মাওলানা কাসেমী-পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচনে আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন হাটহাজারীতে বৈঠকে বসছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। ওই বৈঠকে নতুন মহাসচিব নির্বাচন ও হেফাজতে ইসলামের কমিটি সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতে ইসলামের একাধিক সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের সর্বশেষ কমিটিতে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারী হিসেবে বাদ পড়া নেতাদের ফের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে। তাই হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটিকে ২০১ সদস্যবিশিষ্ট করা হচ্ছে। কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হচ্ছে আল্লামা আহমদ শফী অনুসারী কয়েকজন নেতাকে। এমনকি আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারী নেতাদের মধ্য থেকে নতুন মহাসচিব করার ভাবনা ভাবছেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ